উৎসবের মুখে বোনাসের ফয়সালা না হওয়ায় গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি উত্তরবঙ্গের সাড়ে চার লক্ষ চা শ্রমিক ও তার পরিবার।

0
75

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- উৎসবের মুখে বোনাসের ফয়সালা না হওয়ায় গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি উত্তরবঙ্গের সাড়ে চার লক্ষ চা শ্রমিক ও তার পরিবার। চা বাগানের রীতি অনুযায়ী শুরুতে তরাই ও ডুয়ডুয়ার্সের চা বাগানে বোনাস নিয়ে আলোচনা হয় তারপর অন্যান্য বাগান গুলোতে বোনাস নিয়ে আলোচনা হয়।গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় চা বাগানের বোনাস নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। মালিকপক্ষ তিনবারের আলোচনার পর তারা ১৫ শতাংশ হারে বোনাস দিতে রাজি হয়। কিন্তু চা শ্রমিকদের অভিযোগ অনেকগুলো বাগান আছে যারা ২০ শতাংশ হারে বোনাস প্রদান করতে পারে। তা সত্ত্বেও তারা শ্রমিকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে। সমস্ত শ্রমিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবেই চা শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে বোনাস প্রদানের দাবি জানায়। বৈঠকের পর চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের নেতা জিয়াউল আলম জানান বোনাস নিয়ে মালিকপক্ষ সভা ডেকে কোন দায়বদ্ধতা নেয়নি। চা শ্রমিকদের সঙ্গে চূড়ান্ত অবহেলা ও শ্রমিকদের সঙ্গে অমর্যাদা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শনিবার থেকেই তরাই ও ডুয়ার্সের আর্থিক ভাবে সক্ষম বাগানের বিক্ষোভ নামবেন শ্রমিকরা। সংগঠনের নেতাদের দাবি আর্থিকভাবে সক্ষম বাগান গুলো ২০ শতাংশ হারে বোনাস প্রদান করতে হবে। দুর্বল বাগান গুলোর ক্ষেত্রে আলোচনা করা যেতে পারে কিন্তু কোন প্রস্তাবে মালিকপক্ষ সায় দেয়নি বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। আবার আগামী ১০ই অক্টোবর সভার আহ্বান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই বাগান গুলোতে বিক্ষোভস সভা শুরু হয়ে গেছে। সমস্ত শ্রমিক সংগঠন যৌথভাবে এই গেট সভা প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত করছে বলে জানা গেছে। করলাভ্যালী চা বাগানের শ্রমিক নেতা গোবিন ওরাও বলেন যে করলাভ্যালী চা বাগান ২০% হারে বোনাস দিতে সক্ষম তা সত্ত্বেও তারা ২০ শতাংশ হারে বোনাস প্রদান করছে না যতক্ষণ না ২০ শতাংশ হারে বোনাস পাচ্ছি ততক্ষণ লড়াই সংগ্রাম চলবে।