মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডী পাঠ শুনতে আজও উদগ্ৰীব গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষেরা।

0
675

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ অনেক আগের কথা, বয়স্ক যারা আছেন তাদের থেকে শোনা যায় তখন আশ্বিন মাসে বেশ শীত পড়ে যেত। চারদিক কুয়াশায় ঢেকে যেত রাস্তা ঘাট। শীতের শিরশির হাওয়ায় যখন ঘুম গাড় করে জড়িয়ে ধরতো তখন মহালয়ার ভোরে বাবা মা এর ডাকে বিছানা থেকে উঠে আসতে হত। তারপর গায়ে চাদর দিয়ে পরিবারের সবাই বসে পড়তো রেডিওর সামনে। অবশ্য তখন সব বাড়িতে রেডিও ছিল না, পাড়ায় পাড়ায় হয়তো দু চারটা খোঁজ নিলে পাওয়া মিলত । আজকেকার দিনের মত অসীষ্ণু পরিবেশ ছিল না। তখন মানুষের মধ্যে ছিল একটা আত্মিক যোগাযোগ। যে সমস্ত বাড়িতে রেডিও ছিল না তারা ভিড় করত যেই বাড়িতে রেডিও আছে, সারিবদ্ধভাবে বসে যেত ছেলে বুড়ো, মেয়ে প্রত্যেকেই।
আজ সেই সব অতীত। স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেটের যুগে এখন রেডিওর কদর নেই বললেই চলে। তবুও আমাদের সাংবাদিক রবিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যায়। তখন ঘড়িতে বাজে চারটে বাজতে দশ। কিছু কিছু বাড়িতে দেখা গেল রেডিও নিয়ে বসে পড়েছে বীরেন্দ্র ভদ্রের সেই আবেগী, মনোমুগ্ধকর কণ্ঠস্বরের মহালয়ার মন্ত্র উচ্চারণ শুনতে ।
যদিও আজকের দিনে রেডিওর কদর নেই, নেই মানুষের সেই আবেগ, এখন টিভিতে যে চমকদার দৃশ্য – শ্রাব্য মহালয়া অনুষ্ঠান হয় তা দেখতেই বেশি পছন্দ করে আজকের যুগের ছেলে মেয়েরা কিন্তু মহালয়ার আসল রসচ্ছাদন নিতে আজো বয়স্করা বসে রেডিও নিয়ে।