মৃত স্বর্ণ ব্যাবসায়ী এর শ্যুট আউট এর ঘটনায় আলাদা ভাবে তদন্তে তিন সদস্যের CID এর টীম।

0
336

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:– গত দুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার জিঞাদা এলাকায় বাজারে সমীর পড়িয়া নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী কে জাতীয় সড়কে শ্যুট আউট এর ঘটনা কে কেন্দ্র করে ইতি মধ্যেই এক দিকে যেমন এলাকায় শোকের ছায়া, অন্য দিকে ক্ষোভ এ ফুঁসছে গোটা এলাকার মানুষ জন। শুধু এই একবার ই নয়, এর আগেও তিনবার সমীর পড়িয়া এর ওপর আক্রমন করা হয় দুবার দোকানে আর একবার বাড়ির সামনের রাস্তায়। তবে চতুর্থ বারে দুষ্কৃতীদের আক্রমনে এবার ঘটল শেষ পরিণতি মৃত্যু। মৃত সমীর পড়িয়া এর স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রায় নগদ ও সোনা মিলিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ্ টাকা লুঠ হয়েছে। সেই অভিযোগ এর ভিত্তিতে কোলাঘাট থানা যেমন তদন্ত শুরু করেছে, তেমনি আজ দুপুর নাগাদ শুট আউট স্তলে CID এর দল পৌঁছায় ঘটনা স্থলে।
জানা গিয়েছে,এই দল‌ প্রথমে কোলাঘাট থানায় আসেন, সেখান থেকে যান যেখানে তাকে স্বর্ণ ব্যাবসায়ীকে শ্যুট আউট করা হয়ে ছিল। সেখানে তথ্য সংগ্রহ করার পর মৃত সমীর পড়িয়া সোনার দোকানের সামনে ও যায় এই দল । তারপর সমস্ত রকম তথ্য সংগ্রহ করার পর, ফিরেজান। তবে এই তদন্তের বিষয়ে CID দল‌ কিছুই বলতে চাইনি।
উল্লেখ্য, যে জায়গায় সমীর পড়িয়া কে শ্যুট আউট করা হয়, সেখানে একটি হোটেল রয়েছে, সেই হোটেলে এর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ওই দিন বাইক নিয়ে তিন জন দুস্কৃতি এই ঘটনায় যুক্ত বোলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। তবে পরিবার এর লোকজন এই ঘটনার পিছনে কোনো ব্যক্তিগত শত্রু আছে বলে মনে করেন। জানা গিয়েছে, সমীর বাবু প্রথমে বাইরে সোনা কাজ করতেন। ২৫ বছর ওই এলাকার দোকান। ব্যবসাও রমরমা। সেই কারণে এই শত্রুতা বলে মনে করছে পরিবারের লোকজন। উল্লেখ্য পরিবারের মধ্যে সেই শোকের ছায়া আজ্ও সমান। সমীর বাবুর স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। আগামী কাল থেকে তার ফাইনাল পরীক্ষা। মন খারাপের মধ্যে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। বারবার মনে হচ্ছে বাবার কথা। সে জানিয়েছে, বাবা থাকলে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যেত, সেই অভাব আজ বড্ড বেশি মনে পড়ছে। তবে এলাকা বাসীরা জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কে ওই জায়গাটিতে বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটে। ওখানে রাতে পুলিশ পাহারায় আবেদন বহুবার জানান হয়েছে পুলিশকে। দ্রুত এই ঘটনার দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। ক্ষোভ এ ফুঁসছে গোটা গ্ৰাম।