বর্ষাকালীন বৃষ্টির থেকেও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে শীতকালীন বৃষ্টি, পরীক্ষা চলার কারণে রেহাই নেই খুদে পড়ুয়াদের।

0
91

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গতকাল সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার! হাওয়া অফিস বলছে চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে আগামী কালকেই দেখা মিলবে রৌদ্রজ্জ্বল দিনের। ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার পরও উত্তর বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়া খারাপ হয়েছে তাই পূর্ব ঘোষিত সতর্কতা অনুযায়ী ৬ থেকে ৮ই ডিসেম্বরের মধ্যে গভীর সমুদ্রে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং অধিকাংশ জায়গায় ঘন্টায় ৩০ – ৬০ কিমি বেগে ও কিছু জায়গায় ঘন্টায় ৭০ – ৯০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।

তাই মৎস্যজীবিদেরকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে জানানো হয়েছিল আগেই।
দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে গতকাল থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ প্রায় সারাদিন এমন আবহাওয়া পরিস্থিতি জারি থাকবে তবে আগামী কাল। সূর্যের দেখা মিলবে বলেই মনে করছেন হাওয়া অফিসের অধিকর্তা।
কিন্তু এরই মাঝে মরশুমরশুমী ফুল চাষ, শীতকালীন রবিশস্য কিংবা আনাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দৈহিক পরিশ্রম করা শ্রমিকদের অবস্থা আরো খারাপ। ব্যবসা-বাণিজ্যর ও একই হাল দোকানপাশারী কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে।
কিন্তু বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলার কারণে খুদে পড়ুয়াদের রেহাই নেই। দীর্ঘ পুজোর ছুটির পর বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তাই এ সময় পরীক্ষা বন্ধ রাখলে, বিদ্যালয় এর পক্ষে পূর্ব পরিকল্পিত বিভিন্ন কর্মসূচি সমস্যার মধ্যে পড়বে। তা বাদেও বর্ষাকালীন বৃষ্টির থেকেও শীতকালের অনাবৃষ্টি এত দুর্বিসহ হবে তা অনুমান করতে পারেননি অনেকেই।