আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- কি দুর্দান্ত হলটা! মোটামুটি দেড়শ জন সহজেই লেকচার অ্যাটেন্ড করতে পারবে,তাইনা?”, বাঁকুড়া ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সেমিনারে এসে ইউনিভার্সিটির লেকচার হল দেখে এই কথাই বললেন বিদেশি স্বনামধন্য এক অধ্যাপক। ২০১৪ সালের পথচলা শুরু হয় বাঁকুড়া ইউনিভার্সিটিতে। ১০ বছর পার করে বদলেছে অনেক কিছু। মোট ১৩টি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে বাঁকুড়া ইউনিভার্সিটিই এই অঞ্চলের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য তৈরি করছে উচ্চ শিক্ষার পরিসর।
পড়াশোনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রকাশ পেতে করা হয় সেমিনার। সেইরকমই একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন পলিসি রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত উপাচার্য ডঃ আকবার উদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে একটি আংশিক নতুন লেকচার হল দেখে একপ্রকার মুগ্ধ হয়েই তিনি বললেন, “কি দুর্দান্ত হলটা! মোটামুটি দেড়শ জন সহজেই লেকচার অ্যাটেন্ড করতে পারবে,তাইনা?”
২১ শতকের শিক্ষা ব্যাবস্থার বিভিন্ন দিক এবং সমস্যার কথা তুলে ধরা হয় এই সেমিনারে, সঙ্গে আলোচনা করা হয় সমাধান। যেমন বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারক নাথ পান একটি সমীকরণের মাধ্যমে বলেন, ভারতের বাড়তি জন সংখ্যা সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে শিক্ষার জন্য। দুই দেশের (বাংলাদেশ এবং ভারত) মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ফান্ডিং! এমনটাই মনে করেন অবসর প্রাপ্ত উপাচার্য ডঃ আকবার উদ্দিন আহমেদ, তিনি জানান, “গবেষণামূলক শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রয়োজন। মেধাবী ছাত্র ছাত্রী থাকলেও সরকার থেকে ফান্ডের অভাবে গবেষণা উচ্চ মাত্রা পায়না। কোনরকমে টেনেটুনে ইউনিভার্সিটি চালানোর মত ফান্ডিং আসতে থাকলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এই একই পরিস্থিতি ভারতের এবং বাংলাদেশের কিছু ইউনিভার্সিটিতে। পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মত দিলদরিয়া আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন গবেষণার ক্ষেত্রে।”
এডুকেশন বিভাগের রিসার্চ স্কলার গৌতম পাল জানালেন আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারের গুরুত্ব। তিনি বলেন, “গবেষণা করতে গেলে ওপেন মাইন্ডেড থাকা খুবই প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক এক্সপোজার একটা বড় ভূমিকা পালন করবে।