নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাস উৎসবের শ্রেষ্ঠ পিঠস্থান শ্রীধাম শান্তিপুর । শান্তিপুরের কাছেই মহাপ্রভু লীলা করতে করতে, যে ঘাট দিয়ে গঙ্গা পার হয়েছিলেন সেই শ্রীধাম নৃসিংহপুর কালনাঘাটে ,৪৭ বছর ধরে মহাসমারোহে পূজিতা হয়ে আসছেন দেবী কালিকা । নদীয়া শান্তিপুর ব্লকের ,হরিপুর অঞ্চলের নৃসিংহপুর এলাকায় এই বিশাল মাতৃমূর্তির পূজা অনুষ্ঠিত হয় । এটিই পৃথিবীর বৃহত্তম ৫২ হাত মৃৎশিল্পের কালী প্রতিমা, দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের । দেবীর পূজার সঙ্গে চলে দশ দিনব্যাপী ইন্দিরা গান্ধী গ্রামীণ মেলা । দশ দিন ধরে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ,যাত্রাপালা এবং সাধুদের শান্তিযোগ্য । পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন ৪৭ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন এই কালীমাতা । পৌষ মাসের সংক্রান্তিতে শুরু হয় দেবীর পূজা অর্চনা।টানা দশ দিন ধরে চলে দেবীর নিত্য পূজো এবং ইন্দিরা গান্ধী গ্রামীণ মেলা । দীর্ঘ দু’বছর করোনা আবহে সেভাবে মহাসমারোহে পুজো তারা করে উঠতে পারেননি। তবে এবার একেবারে মহাসামারয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে ।তারই প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্বে। দেবী এখানে ডাকের সাজে সুসজ্জিত হন, সুবিশাল বাসের কাঠামোর উপর পাটকাঠি খর এবং মাটির প্রলেপের মধ্যে দিয়েই তৈরি করা হয় দেবী মূর্তি । আনুমানিক একমাস সময় লাগে এই মূর্তি তৈরিতে। মৃৎ শিল্পীরা জানাচ্ছেন, একমাস ধরে এই মূর্তি তৈরিতে তারা নিযুক্ত রয়েছেন ৯ জন কর্মচারী । দিনরাত একত্রিত করে চলছে মূর্তি তৈরির কাজ। তবে এই সুবিশাল মূর্তি তৈরিতে কর্মচারীদের খাটুনি অনুযায়ী পারিশ্রমিক খুবই কম । তবে তাদের খুশি এতেই হয় ,এই মূর্তি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় হয় এই উৎসবে। তারা জানতে পারেন মৃৎ শিল্পীদের নিপুন হাতের দক্ষতার কাজ। আয়োজকরা জানাচ্ছেন, এবছর মাতৃ মূর্তি তৈরিতে খরচ হচ্ছে আনুমানিক দু লক্ষ টাকা। প্রশাসনিক সহযোগিতা এবং ক্লাব সদস্যদের সহযোগিতায়, দশ দিনব্যাপী এই বৃহৎ আকার মেলা পরিচালনা খুবই সুষ্ঠভাবে করা হয়। তবে হাতে আর কয়েকদিন আগামী ইং- 15ই জানুয়ারি ২০২৪ অর্থাৎ বাংলার ২৯ এ পৌষ ১৪৩০ সালে ,পূজা শুরু হবে এই মাতৃ মূর্তির। তাই নাওয়া খাওয়া ভুলে অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে ।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা পৌষ সংক্রান্তি তিথিতে পূজিতাহন পৃথিবীর বৃহত্তম ৫২ হাত মৃৎশিল্পের কালি মাতা, নদীয়ার...