সেভাবে প্রচলন আর নেই, কিন্তু পিঠে পুলির উৎসব মানে নতুন করে খোঁজ পড়ে ঢেঁকির।

0
79

আবদুল হাই,বাঁকুড়াঃ-  ‘বউ ধান ভানরে ঢেঁকিতে পার দিয়া, ঢেঁকি নাচে বউ নাচে হেলিয়া দুলিয়া’- এসব কথা বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা শোনেনি। শোনার কথাও নয়। কারণ বর্তমানে ঢেঁকি নিয়েছে ‘ছুটি’। আরো সহজ করলে বলা ভালো আধুনিক যন্ত্র সভ্যতার যুগে ঢেঁকিকে ছুটি দিয়েছি আমরাই।

কিন্তু পিঠে পুলির উৎসব মানে নতুন করে খোঁজ পড়ে ঢেঁকির। কাঠের তৈরী দানবাকৃতি এই যন্ত্রের তৈরী চালের গুঁড়ো ছাড়া ভোজনরসিক বাঙ্গালীর পিঠের স্বাদ পূরণ হয়না যে। বর্তমান সময়ে ‘অপাংক্তেয়’ ঢেঁকির খোঁজে বেরিয়ে আমরা পৌঁছে গেছিলাম শহর থেকে অনেক দূরে বাঁকুড়ার ইন্দাসের গোবিন্দপুর গ্রামে। ঐ গ্রামে পৌঁছে দেখা গেল নিকানো উঠোনে ধপাধপ শব্দে চালের গুঁড়ি তৈরী করছেন একদল মহিলা। আর মাত্র ক’দিন পরই মকর সংক্রান্তি। পিঠে পুলি উৎসবের সূচণা। তাই দলবেঁধে ঢেঁকিতে চলছে চাল গুঁড়ো করার কাজ। হাতে সময় কম, তাই এই মুহূর্তে দমফেলার ফূরসৎ নেই কারো।

ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করার ফাঁকে রাখী বাগদী, ভারতী বাগদীরা বলেন, ঢেঁকিতে তৈরীর চাল গুঁড়ির পিঠেতে যে স্বাদ হয়, মেশিনে গুঁড়ো করলে তা হয়না। তাই পরিশ্রম আর সময় বেশী লাগলেও এখনো পিঠে তৈরীর চাল গুঁড়ো তৈরীর ক্ষেত্রে ঢেঁকির উপরেই এখনো আস্থা তাঁরা রেখেছেন বলে জানান।