সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছায়া এবার বাউনি-পৌষ-পার্বনে নদিয়া, নূরী, রেবেকা, শিপ্রা, বিথিকা দের ঘরে।

0
63

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছায়া এবার বাউনি-পৌষ-পার্বনে নদিয়া, নূরী, রেবেকা, শিপ্রা, বিথিকা দের ঘরে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছায়া এবার বাউনিতে অর্থাৎ পৌষ-পার্বণে। চাকদহ ব্লকের চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির মলিচাগর গ্রামে। এখানে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে দীর্ঘদিন থেকে।সামনেই পৌষ সক্রান্তি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে বাউনি বা পিঠেপুলির খাওয়ার দিন।আগে মাঠ থেকে ধান কেটে ঝেড়ে গোলায় রাখা হতো। সেই ধান গোলা থেকে বের করে ঢেঁকিতে কুটে বা চাল গুড়ো করে মায়েরা উঠানে গোবর দিয়ে নিকিয়ে আলপনা দিতো এবং উলুধ্বনি দিয়ে আবাহন করতো বাউনিকে ভোর রাতে। আজ সব অতিত সেই ঢেঁকি পাঁচটা গ্রাম খুঁজে একটা পাওয়া যায় না মেশিনের দাপটে।হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকিতে পাট দিতে দিতে মা ঠাকুরমাদের সেই গান। সেই ধানের গোলা আর দেখা যায় না।বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। বিশেষ করে পৌষ মাসের সক্রান্তি বেশ জাঁক জমক করে করে। নারকেল থেকে শুরু করে প্রত‍্যেক টি জিনিসের দাম বেশী তাহলেও নম নম করে করতে হয়।এই মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পিঠে খায় তারা ধান থেকে চাল কুটে পিঠে তৈরী করে। তেমনি বাউনি তে পিঠে তৈরী করে সামাজিকতা বজায় রাখে। বয়স্ক নূর বিবি বলেন,এই মাস টা আমাদের পিঠেপুলি খাওয়ার মাস তেমনি হিন্দুদের বাউনি।এই গ্রামে একটাই ঢেঁকি ফলে গ্রামের মহিলার আমাদের বাড়িতে আসে।ঢেঁকিতে পাট দিয়ে সাহায্য করি ও ধান কুটে দিই। আমাদের এই আদান প্রদানে ফলে একটা সম্প্রীতি বা সম্পর্ক গড়ে ও ওঠে।একি কথা বলেন,রেবেকা খাতুন মোল্লা আমি তো পাট দিই ঢেঁকিতে ভালোই লাগে। বীথিকা বিশ্বাস,শিপ্রা মিস্রি এবং আলো মন্ডল রা বলেন,মেশিনে চাল গুড়ো করলো পিঠের স্বাদ ভালো হয় না। তাই ঢেঁকি তে চাল গুড়ো করে পিঠে করলে স্বাদ ভালো হয়।আমরা এক সাথে থাকি ফলে ওরা ঢেঁকিতে পাট দিতে খুব সাহায্য করে।