বর্তমানে প্রচার মাধ্যমে ও সরকারী সহযোগিতায় কিছুটা আলোর মুখ দেখেছেন পটুয়ারা।

0
65

পাঁশকুড়া-পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- কয়েক যুগ আগে থেকেই অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় পটের গানের প্রচলিত ছিল। বাড়িবাড়ি গিয়ে বিভিন্ন রকম উপাখ্যানের বিষয়বস্তুকে হাতে আঁকা ছবি পটের মাধ্যমে ও গানের সুরে তুলে ধরতেন পটুয়ারা। যেখানে প্রধানস্থান পেতো রামায়ণ, মহাভারত, শীতলা মঙ্গল, মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল সহ একাধিক উপাখ্যান। আর বাড়ি বাড়ি পটের গান গেয়ে উপার্জন করতেন দুঃস্থ পটুয়ারা। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার কেশববাড় গ্রামে একাধিক পরিবার পটুয়া পরিবার রয়েছেন। তারা এখনও এই পটশিল্পের সাথে বংশ পরম্পরা যুক্ত।তাদের কথায় বছর দশেক আগে পটুয়াদের অবস্থা খুবই করুন অবস্থা ছিলো। মুখ ফেরাচ্ছিলেন পটুয়া শিল্পীদের পরবর্তী প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা। তবে বর্তমানে প্রচার মাধ্যমে ও সরকারী সহযোগিতায় কিছুটা আলোর মুখ দেখেছেন। তবে তাদের কথায় এখনো রামায়নের গুরুত্ব যথেষ্ট রয়েছে।এখনো বিভিন্ন মেলায় বা অনুষ্ঠানে অন্যান্য উপাখ্যানের মতো রামায়নের বিভিন্ন অধ্যায়ের গান ও ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেন এখনো। রামায়নের জন প্রিয়তা এখনো ভাটা পড়েনি মানুষের মধ্যে। তবে আগামী ২২শে জানুয়ারী অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোদন হবে।তাই পটুয়াদের মধ্যে প্রভাব পড়েছে।তাদেরকে দিয়ে রামায়নের গান গাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে বিভিন্ন মেলা বা অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি রামায়নের বিভিন্ন ছবিও বিক্রি বেড়েছে মেলা অনুষ্ঠানে। ফলে খুশি পটুয়া শিল্পীরা।