বয়স্ক নাগরিকদের কি কি ধরনের আইনি অধিকার আছে, সে সম্পর্কে সচেতনতা শিবির।

0
738

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার সতীশ সামন্ত ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মেগা লিগেল অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প। ২৪ শে ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১১ঃ০০ টা থেকে শুরু হয় অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ, পূর্ব মেদিনীপুর এই আইনি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করে। কলিকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি জাস্টিস ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জি এই আইনি সচেতনতা শিবিরের মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আইনি সহায়তা সচেতনতা শিবির। বয়স্ক নাগরিকদের কি কি ধরনের আইনি অধিকার আছে, সে সম্পর্কে তাদের এবং জনসাধারণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে এবং জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করা পার্শ্ব আইনি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষিত করার জন্য এই শিবিরটি পরিচালিত হয়। বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুর আইআইটির রাজীব গান্ধী স্কুল অফ ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি লয়ের অধ্যাপক শ্রেয় মতিলাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা বিচারক শ্রী প্রিয়ব্রত দত্ত। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শ্রী সৌভিক মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক শ্রী সুদীপ্ত বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হলদিয়া শ্রী মনোরঞ্জন ঘোষ, তমলুক মহকুমার শাসক শ্রী দিব্যেন্দু মজুমদার। এছাড়াও তমলুক, হলদিয়া ও কাথি আদালতের সমস্ত বিচারকগণ, হলদিয়া মহকুমার সমস্ত পুলিশ আধিকারিকগন ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকগণ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সব মহকুমা শাসকগণ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ৩০ জন বয়স্ক নাগরিক, হলদিয়া ল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত পার্শ্ব আইনি স্বেচ্ছাসেবক গন।

মাননীয় বিচারপতি শ্রী মুখার্জি বলেন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বয়স্ক নাগরিকদের আইনি অধিকার নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে এটাই আমাদের কাছে একটি লজ্জার বিষয়। আমরা কেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের প্রবীণ নাগরিকদের সম্মান জানাতে পারছি না, তাদের দেখভাল করতে পারছি না, এ বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার এবং যে সমস্ত নাগরিকদের দেখভাল করার মত কেউ নেই তাদের জন্য সরকারিভাবে একটি ফান্ড করে সেখান থেকে তাদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করা দরকার। মহামান্য বিচারপতি আরো বলেন প্রতিটি জেলায় এই ধরনের আইনি সচেতনতা শিবির পরিচালনা করা দরকার যাতে প্রবীণ নাগরিকরা জানতে পারেন তাদের কি কি আইনি অধিকার এবং নবীন প্রজন্ম বুঝতে পারে যে প্রবীণ নাগরিকদের দেখভাল করা তাদের আইনি কর্তব্য নতুবা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই সচেতনতা শিবিরে প্রায় দুশো জন অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মূল মঞ্চের বাইরে তিনটি পরিষেবা প্রদান স্টল বসানো হয়েছিল, যার একটি জেলা ইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের স্টল, অন্যটি জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তরের স্থল যেখানে সরাসরি বার্ধক্য ভাতা অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতন করার ব্যবস্থা ছিল এবং আরেকটি ছিল ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের স্টল যারা প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কি কি ব্যাংকিং স্কিম আছে সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করছিলেন।