১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে সংঘর্ষ তৃনমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএম এর মধ্যে।

0
57

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ– কাজ না করেও টাকা প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল কর্মী ও সুপারভাইজারের পরিবারের লোকেদের।১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে সংঘর্ষ তৃনমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএম এর মধ্যে।একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ।হাসপাতালে ভর্তি সিপিআইএম এর পঞ্চায়েত সদস্য‌ উভয়ের পক্ষের মোট পাঁচ জন।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাতটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ রামপুর গ্রামে।স্থানীয় সিপিআইএম এর পঞ্চায়েত সদস্য লতিফুর রহমান ও তার ছেলে মিজানুর রহমান সহ এক সিপিআইএম কর্মী শেখ আলমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃনমূল কর্মী তথা বুথ সুপারভাইজার আলফাজ হোসেন ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।অভিযোগ,সুপারভাইজার আলফাজ হোসেন ও তার পরিবারের লোকেরা কোনোদিন ১০০ দিনের কাজ করেনি।প্রকৃত উপভোক্তারা বঞ্চিত রয়েছে অথচ টাকা প্রাপকদের তালিকায় সুপারভাইজারের পরিবারের লোকেদের নাম রয়েছে।এদিন রাতে তালিকা হাতে নিয়ে চায়ের দোকানে বসে এমনটাই অভিযোগ করেন সিপিআইএম এর পঞ্চায়েত সদস্য লতিফুর রহমান।সেই অভিযোগ শুনেই বেজায় চটে যান তৃণমূল কর্মীরা।তারপরেই বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতি।সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য ও তার ছেলে এবং এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মী এবং তার পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে।পাল্টা সিপিএমের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের।এই ঘটনায় দুই পক্ষের আহত হয়েছে মোট ৫ জন।সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য লতিপুর রহমানের অভিযোগ তৃণমূল কর্মী তথা সুপারভাইজার আলফাজ হোসেন এবং তার পরিবারের লোকেরা ১০০ দিনের কাজ করেনি।কিন্তু টাকা প্রাপকদের তালিকায় তাদের নাম রয়েছে।সেই কথা
চায়ের দোকানে আলোচনা করতেই
আলফাজ হোসেনের পরিবারের লোকেরা চড়াও হয় তার উপর।তাকে এবং তার ছেলে মিজানুর রহমান এবং এক কর্মী শেখ আলমকেও মারধর করা হয়। তিনজনেই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কর্মী আলফাজ হোসেনের পাল্টা দাবি সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য লতিফুর রহমানের অনুগামীরা তার পরিবারের দুই সদস্য আলাউদ্দিন এবং মহিদুলকে মারধর করেছে।তারা ১০০ দিনের কাজ করেছিল বলেই তালিকাতে নাম রয়েছে।ব্লক থেকে সেটা ভেরিফিকেশন হয়েছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌছায়।দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here