নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট, ১৭মার্চ ——– সরকারী হাসপাতালের ভেতরেই চলছে বিউটিপার্লার! ভাইরাল ভিডিও। অভিযুক্তদের জেলে পুড়বার দাবি সাংসদের। বিকৃত করা হচ্ছে ঘটনা, বলল তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার হাসপাতাল সুপারের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। জানা গেছে, সরকারি ওই হাসপাতালের ভেতরে রীতিমতো বিউটি পার্লার খুলে টাকা রোজগার করছেন সেখানকার কিছু অস্থায়ী মহিলা কর্মী বলে অভিযোগ। বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভেতরে চলা বিউটিশিয়ানের কাজের সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই রীতিমতো আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, হাসপাতালের সুনির্দিষ্ট পোষাক পড়ে এক মহিলা কর্মী চেয়ারে বসে থাকা অপর এক মহিলার মুখের পরিচর্চা করছেন। করছেন চেয়ারে বসে থাকা সেই মহিলা কর্মীর সাথে খোশমেজাজে গল্পও। খোদ সরকারি হাসপাতালের ভেতরে কিভাবে এই বিউটিশিয়ানের কাজ চলছে তা ভেবেই অবাক হয়েছেন অনেকে। ঘটনা জেনে রীতিমতো স্তম্ভিত বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদও। তিনি বলেন, অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে জেলে পোড়া উচিত।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, আর যে কি কি দেখতে হবে এরাজ্যে তা ভেবেই অবাক হচ্ছেন তিনি। সরকারি হাসপাতালের ভেতরে কিভাবে বিউটি পার্লার চলতে পারে তা ভেবে নিজেই অবাক হচ্ছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের প্রত্যেককে জেলে পোড়ার দাবি জানিয়েছেন।
কিছু নেতার দাদাগিরিতেই এসব চলে। প্রতিবাদ করলে তারা আবার প্রাণ নাশের হুমকি দেন। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তা কিছুটা পুরনো হলেও এখনো একইভাবে চলছে সেই কাজ। হাসপাতালের পরিষেবা না দিয়ে তারা সেসময়ে বাড়তি রোজগার করছেন হাসপাতালের ঘরেই।
ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন বালুরঘাট হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। তার দাবি, দুই মহিলা গোষ্ঠীর ঝামেলাতে একটা অস্থিরতা পরিবেশ তৈরি হয়েছে হাসপাতালে। তারা কেউই স্থায়ী কর্মী নন। সাধারণ মানুষের পরিষেবা বিঘ্নিত করলে তাদের বরদাস্ত করা হবে না।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সাস্থ আধিকারিক সুদীপ দাস,এদিন সাংবাদিক দের জানান, বিষয় টি তার জানা ছিল না,সাংবাদিক দের থেকে শুনে করা ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।পুলিশ কে বলা হয়েছে।