ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু বদল হয় না দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হিলির সীমান্ত কাটাতারের গ্রাম গুলির অনুন্নয়নের চিত্রটা।

0
39

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ– ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু বদল হয় না দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হিলির সীমান্ত কাটাতারের গ্রাম গুলির অনুন্নয়নের চিত্রটা।
এমনি অভিযোগ হিলির আন্তর্জাতিকভাবে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা গ্রাম গুলির বাসিন্দাদের।

কোন গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ রাস্তা সারাই নিয়ে আবার কোন গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ নিকাশি ও জল জমা নিয়ে। আবার কোন গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ পথবাতি না থাকা নিয়ে।

গত পাঁচ বছরে ভোট হয়েছে তিন বার। আরও একটি লোকসভা ভোটও শিয়রে। কিন্তু প্রতি ভোটেই রাজনৈতিক দলগুলীর প্রার্থীরা এসে বাসিন্দাদের এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ ও পুরন হয়নি গ্রামবাসিদের এই ন্যুন্যতম দাবি।অথচ এরা সীমান্তের গ্রামগুলিতে অনুন্নয়নের ছাপের মধ্যে শতকষ্টে দিনযাপন করলেও ভোটের দিন অনেক আশা নিয়েই কয়েক মাইল পায়ে হেটে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন।কিন্তু এরপর ভোটের ফলাফল বেড়তেই আর দেখা মেলে না রাজনৈতিক দলের সাংগপাংগদের।যদিও সীমান্ত ঘেষা গ্রামগুলির বাসিন্দাদের অভিযোগের সাথে একমত হতে নারাজ এমন ও কয়েকজন বাসিন্দা অবশ্য জানিয়েছেন স্থানিও বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তাদের গ্রামের পাশাপাশি সীমান্তের অনান্য গ্রামগুলিতে আসেন এবং গ্রামগুলীর জনজীবনের উন্নয়নের ব্যাপারে বেশ কিছু কাজ করেছেন।

চৈত্রের কেবল শুরু , যখন যত চৈত্রের দিন গড়াবে দাবদাহে যখন পাশের পুকুর ও গভীর নলকুপ শুকিয়ে কাঠ হওয়া যেন স্বাভাবিক ব্যাপার স্থানিওদের কাছে । পাশাপাশি এলাকায় প্রবেশের একমাত্র পথ ড্রেনের জলে সারা বছর ডুবে থাকা থেকে শেষ কবে ওই রাস্তায় শেষ পিচ পড়েছে কারও মনে নেই। রাস্তার দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা স্থানিও রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনীধিদের কাছে তাদের এই সমস্যাগুলি সমাধানের দাবি জানিয়ে আসলেও কোনও ফল মেলেনি । তাই অনেকেই নোটা-র বোতাম টেপার দিকেই পা বাড়িয়ে আছেন বলে স্থানিওদের একাংশদের দাবি।
ভোট আসে, ভোট যায়, উন্নয়নের বুলি ছোটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কিন্তু ভোট পেরলে সেই চিত্রটা একটুও বদলায় না এই পাচ বছরে।তাই সীমান্ত ঘেষা গ্রামগুলির বাতাসে মিশে রয়েছে শুধুই চাপা দীর্ঘশ্বাস।