উপঢৌকন : রাণু সরকার।

0
54

এখন হালকা ঠান্ডা আমার চলে যাবার সময়,
আমি চলে যাবো সাঁঝবাতি জ্বালানোর আগে
আমার সাথে বিচরণ করো না হে সহচর ভরসা করে কি লাভ ? প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে চলতে হয় তুমি সব জানো পথ পিচ্ছিল করো না যেতে আমাকে হবেই।

একবার আমার বক্ষঃস্থলে নাক রেখে দেখো নেশায় উদ্রেক হবে সংশয় কেনো? তাকিয়ে দেখো শরীরের লোমকূপ থেকে নিঃসৃত জলের বিন্দু বিন্দু নিভৃতে এসো মিলনমেলায়!
তোমার তুহিন মুখবিবর দৃশ্যপট-
তোমার প্রথম অবস্থা রক্ষিত সাবলীল,
অংশুমালীর কাছে সচকিত চিত্ত হে বিহঙ্গিনি।

যাও তবে- প্রাকৃতিক নির্বাচন,
ক্ষীণালোকে ডেকে যেও থাকবো গিরিতটে- দেখবো অপাঙ্গদৃষ্টিতে,
আমার মানা শোনা তোমার কাছে ক্লেশকর-
সহ্যশক্তিহীন আকাঙ্ক্ষা আচ্ছদনে রেখে শাস্তিস্বরূপ থাকবো বিরামহীন বিহগের মতো!

কল্পনায় মগ্ন হয়ে দেখবো তোমায়, বিচিত্রবর্ণে নৃত্যশীল ঠিক যেন অতীতের বাল্যবস্থা-
তোমার আসা ক্ষণস্থায়ী- বিদায়কাল বিরহ
বিহানে কাঞ্চনপ্রভা তীব্র নয় মধুর বাতাস করে উদ্দীপিত!
নিঃশব্দ দ্বিপ্রহর তাপক্লিষ্ট বিষাদযুক্ত,
ছোঁয়াছুয়ি করে ছড়ালে সংক্রমণ-
এ-ব্যাধি দুরারোগ্য কিকরে আরোগ্যলাভ হবে?
চলে তো গেলে কিছু না বলেই- বিচ্ছেদে
শোকবিহ্বল–
উপঢৌকন দিয়ে গেলে শুধুই বিষাদ|