তরূণ তো আমি নই, মধ্যবয়স্ক অসমতল সড়কে সঙ্গীহীন চলেছি, প্রখর রোদে ঝলসানো কখনো প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ভিজে কারোর দয়ার্দ্র, অথচ দক্ষ ফলপ্রদ কাঠাম একনিষ্ঠ তপস্বির মতো।
চলার পথ অনুকূল নয়, তবে ধোপে টেকা।
কোনরকমে অতিবাহিত, নিশিযাপন বৃক্ষপ্রেমিকের সাথে, পরিজনবর্গ হলো বিহগের দল নিঃসঙ্গ, দীন গৃহ আলোআঁধারি, তাই অংশুমালীর সন্ধানে, ভুল করে যখন দেখো কিকরে ভুলি বেদান্ধর দুর্বলতা।
আমার পাংশু কাল, নিখুঁত তরুণীর কাছে অবশ্য প্রণত আমি; কারণ ন্যুব্জদেহ যে–
প্রতিবাদীদের বাড়বাড়ন্ত জাজ্বল্যমান, আমি হৃদয়ের আধিপত্যে দরিদ্র নই অতি বৃহৎ কপিশবর্ণ হলেও একমাত্র তুমি জানো নাড়ির গতিপথ কোনটা ও প্রাণশক্তি, প্রেমনদী।
তা সত্ত্বেও আমাকে গৃহের প্রধান প্রবেশপথ থেকে বিদায় নিতে হলো।