দিন ভর প্রার্থী অনির্বাণের ভোট প্রচার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে।

0
52

প্রকাশ কালি ঘোষাল, যাদবপুর: – ভোট যত এগিয়ে আসছে বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রচারের মাত্রা ও তত বাড়ছে। যদিও যাদবপুর লোকসভা নির্বাচন সপ্তম দফায অর্থাৎ শেষ দফায় ভোট হবে, তবুও প্রচারে কোন খামতি রাখছেন না কোন দলই। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে সকালে টালিগঞ্জ বিধানসভার ঊষা ব্রীজ থেকে মজুমদার পাড়া পর্যন্ত রোড শো করতে দেখা গেল কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে। জনগণের উদ্দেশ্যে হাত জড়ো করে ভোট প্রার্থনা করলেন ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয়। প্রার্থীকে পাশে পেয়ে উৎসুক নাগরিকগণ হাত জোড় করে অভিবাদন গ্রহণ করলেন। দুপুর পর্যন্ত চলল রোড শো। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর পুনরায় সন্ধ্যা ছটা থেকে যাদবপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ব্যান্ড বাজনা সহযোগে পদযাত্রা শুরু হলো, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং একনিষ্ঠ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে। প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ যাত্রা করার পর তাল-পুকুর এলাকায় জনসংযোগ যাত্রা শেষ হয়। জনসংযোগের পর তালপুকুর এলাকায় পথসভা হয়। পথসভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে ডক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় বললেন সি পি আই এম এবং কংগ্রেস কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা পুনরায় আনতে চায় এটা খুবই দুর্ভাগ্যজন। তারা চায় না ভারতবর্ষে এক নীতি এক আইন হোক। তাই তারা কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত দেখতে চায় না। মোদীজির “সবকা সাথ সবকা বিকাশ” নীতি কে ফলশ্রুত করতে আগামী নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিপুল ভোটে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীদের জয়যুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী যাতে জয়লাভ করে তার জন্য সাধারণ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করলেন ড অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয়। মোদীজির “সবকা সাথ সবকা বিকাশ” নীতি কে অক্ষুন্ন রাখতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থীকে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান।

পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টা লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি এবার ভালোই ফল করবে এবং এক নম্বরে উঠে আসবে এমনি মন্তব্য করেছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। যদিও বিজেপি কটা আসন পাবে? এখনো তেমন খোলসা করে কিছু বলেননি তিনি। শুধু এই একটা কথাতেই রাজ্য রাজনীতির ভোট চর্চার মোড় ঘুরে গিয়েছে, এমনই অভিমত রাজনীতিবিদদের। এখন দেখার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৩৫টি আসনে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেও , সপ্তম দফা নির্বাচনের শেষে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত কটা আসন কেন্দ্রীয় সরকারকে উপহার দিতে পারে সেই দিকেই তাকিয়ে থাকবেই আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসী।