প্রচারের তাপে যাদবপুর : ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্বাচনী অভিযানে মানুষের সমর্থন।

0
73

যাদবপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আজ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছ  ভোট। উত্তরবঙ্গের ৩টি লোকসভা আসনে চলছে ভোট গ্রহণের পক্রিয়া। তাই রবির প্রখর তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক  উষ্ণতাও। রাজ্যে রাজ্যে, জেলায় জেলায় প্রার্থী দের প্রচার জারি রয়েছে তুঙ্গে। যতই তপ্ত আগুনে পুড়তে থাকুক পিঠ, লড়াই পালটা লড়াই চলতে থাকবে ঠিক । প্রতিটি রাজ্যের মতন পশ্চিমবঙ্গের ভোটেও নজর থাকবে সকলের। এই রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র যাদবপুর। এখানে তৃণমূল-বাম ও বিজেপির লড়াই হবে সমানে সমানে। আর রাজনৈতক অপশাসনের তালা ভাংতে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় এর লড়াই রয়েছে জারি। প্রতিদিনই তিনি কঠিন দাবদাহকে উপেক্ষা করে লিপ্ত রয়েছেন জনসংযোগ সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে। আর আশ্চর্যের বিষয় হলো এতো কাট ফাঠা রৌদ্র ও  গরমকে উপেক্ষা করেও তাঁর প্রতিদিনের প্রচারে নামছে মনুষের ঢল। মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদকে সঙ্গে নিয় এগিয়ে চলেছেন তিনি।

যথারীতি আজ সকালে প্রচারে বেরহয়ে ডাঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় মায়ের চরণে পূজার্ঘ্য নিবেদন করে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন। শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে – বিপুল সংখ্যক মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দিয়েছেন। এই রোদ ও গরমের মধ্যেও বিজেপি নেতা-কর্মীরা তাদের প্রার্থীদের সমর্থনে গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেন। রাস্তার দুপাশের সাধারণ মানুষ ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভোটে জয়ী করার আশ্বাস দিয়েছেন। এর পাশাপাশি জনসংযোগ কর্মসূচির ফাঁকে অনেক সময় ধরেই প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলছেন ডাঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় যাদবপুর স্টেশন সংলগ্ন সুকান্ত সেতু হকার্স মার্কেটে জনসভা করেন। ওই জনসভায় স্থানীয় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় স্থানীয় নেতাদের সাথে জনসভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি স্থানীয় জনসাধারণকে তাকে আশীর্বাদ করার আহ্বান জানিয়ে তার বক্তৃতা শুরু করেন। তিনি বলেন, যাদবপুর কেন্দ্রের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের শাসন দেখেছে, তারপর প্রায় ১৫ বছর ধরে তৃণমূলের শাসন দেখেছে। কিন্তু এ এলাকার উন্নয়ন এখনো সেভাবে দৃশ্যমান নয়।

তিনি রামনবমীর উদাহরণ দিয়ে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামনবমীর আগে জনসভায় বলেছিলেন, বিজেপি বা দাঙ্গাবাজরা রামনবমীর দিন দাঙ্গা করতে পারে। এমনকি তিনি আল্লাহর নামে শপথ করেচছেন যে, তিনি দাঙ্গা হতে দেবে না। ডাঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি আল্লাহর নামে শপথ করছেন করান  তিনি শুধুমাত্র মুসলিম ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, দুদিন আগে এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে রামনবমীর দিন বিজেপির তরফে দাঙ্গা হবে, কিন্তু বিজেপির তরফে কোনও দাঙ্গা হয়নি, কারণ বিজেপি কোনও দাঙ্গাবাজ দল নয়। কিন্তু রামনবমীর দিন তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল, গেরুয়া পোশাক পরে, মাথায় গেরুয়া পাগড়ি  নিয়ে, রামনবমী পূজায় অংশ নিচ্ছেন। এবং এর কারণ হল তাদের মধ্যে ভয়, কারণ তারা মুসলমানদের আকৃষ্ট করতে গিয়ে হিন্দু ভোট আবার যেন না হারায়। কারণ এতক্ষণে তারা বুঝতে পেরেছে যে হিন্দু জনগণ তাদের পাশে নেই। তাদের মুসলিম তুষ্টি নীতি এতটাই যে তারা হিন্দুদেরকে মানুষ মনে করে না।

পাশাপাশি এদিন তিনি নাম না করে সায়ানী ঘোষ’কে কটাক্ষ করে বলেন, যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীকে রাম নবমীর মিছিল করতে দেখা যায়, অথচ সেই তৃণমূল প্রার্থী হিন্দুদের অনুভূতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মীদের যাদবপুর বিধানসভা এলাকায় পতাকা লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না, পতাকা লাগালেও স্থানীয় কাউন্সিলর ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা পতাকাটি নিয়ে তা পুড়িয়ে দিচ্ছেন। আমাদের কর্মীদের মারধর। আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে ভোটের সময় ঘর থেকে বের না হয়। কিন্তু এতো করেওযে বিজেপিকে আটকানো যাবেনা এদিন তাঁর ব্যক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।