তীব্র গরম সহ্য করতে না পেরে এজলাস চলাকালীন আদালতের মধ্যেই মৃত্যু হল এক যুবকের।

0
57

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- তীব্র গরম সহ্য করতে না পেরে এজলাস চলাকালীন আদালতের মধ্যেই মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম মেহবুব হাসান মোল্লা। বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কৃষ্ণনগর জেলা ও দায়রা আদালতে। জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আজও চলছিল আদালত। মেহবুব হাসান মোল্লা নামে ওই যুবক তার কাকার সঙ্গে কোন একটি মামলার কারণে সাক্ষী দিতে এসেছিল। আদালতের চতুর্থ তলায় যখন এজ্লাসে সেই মামলার কাজকর্ম চলছিল ঠিক তখন একটি দেওয়ালের সঙ্গে হঠাৎ হেলান দিয়ে মাথা নিচু করে ফেলে ওই যুবক। তার অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি আদালতের আইনজীবীরা বুঝতে পেরে তাকে তৎক্ষণাৎ অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে জল দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। এরপর আদালতের বিভিন্ন কর্মীদের সাহায্যে তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীকালে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে। জানা যায় ওই যুবকের বাড়ি কৃষ্ণনগরের আনন্দবাস এলাকায়।
মৃত ওই যুবকের কাকা সাহাফুল মোল্লা বলেন, ও চারতলায় সাক্ষী দান করতে গেছিল। আমি নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ফোনে এক আইনজীবী মারফত জানতে পারি ভাইপোর শরীর খারাপ হয়েছে। তড়িঘড়ি আমি নিজেও উপরে উঠে যায়। এরপর পুলিশ এবং আইনজীবীদের সাহায্যে আমার ভাইপো কে হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
অন্যদিকে কৃষ্ণনগর আদালতের আইনজীবী অমরেশ প্রামানিক বলেন, আমাদের আদালতেরই কিছু কর্মী তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি বুঝতে পারে। এরপরই তড়িঘড়ি আমরা ওকে অন্য ঘরে নিয়ে যায় এবং জল দিয়ে সুস্থ করার ব্যবস্থা করি। পরবর্তীকালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
তবে আইনজীবী এবং পরিবারের প্রাথমিক অনুমান তীব্র গরমের সানস্ট্রোকের পলি ওই যুবকের মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে এলেই পরিষ্কার হওয়া যাবে কি কারনে ঐ যুবকের মৃত্যু হল।