কেন্দ্রের ছাড়পত্রের পরেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানো ব্যবস্থা থমকে।

0
35

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট:-  রফতানি কর নিয়ে জটিলতা। কেন্দ্রের ছাড়পত্রের পরেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানো ব্যবস্থা থমকে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হিলিতে রয়েছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। সেখান দিয়ে দুইদেশের নাগরিকদের চলে বৈধ পারাপার। আবার সেই চেকপোস্ট দিয়েই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি ও রফতানি বানিজ্য চলে। পন্য নিয়ে দিনে অন্তত ২৬০ টি গাড়ি পারাপার হয়। বাংলাদেশ থেকে হাতেগোনা কয়েকটি সামগ্রী ভারতে আসে। কিন্ত ভারত থেকে পাথর, পেয়াজ, লঙ্কা, চিনি, মাছ, জিরা, ফলমূল মশলা, কাপর সহ যাবতীয় সামগ্রী বাংলাদেশে রফতানি হয়। তবে এই সীমান্ত দিয়ে গত তিনমাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে পেঁয়াজ রফতানি। শনিবার কেন্দ্রের বানিজ্য মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফের পেঁয়াজ রফতানির ওপর ছাড়পত্র দেয়। এতেই পেঁয়াজের উপযুক্ত দাম পাওয়ার আশা ছিল দক্ষিণ দিনাজপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের চাষিদের। কেননা, বাংলাদেশে খুব চাহিদা থাকলে এই চেকপোস্ট দিয়ে দিনে ৪০ লরি পেঁয়াজ রফতানি হয়ে থাকে। চাহিদা স্বাভাবিক থাকলেও তারা প্রতিদিন অন্তত ২৫ গাড়ি পেঁয়াজ নেয় ভারত থেকে।
রবিবার এলটি অর্থাৎ দুই দেশের বানিজ্যকারীদের মধ্যে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত শুল্ক বিভাগের কাছে আসা বিজ্ঞপ্তির নিয়মে থমকে যায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানোর প্রক্রিয়া। আদৌও এবার পেঁয়াজ রফতানি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
হিলি এক্সপোর্টাস এন্ড কাস্টম ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর মুখপাত্র পান্নালাল বনিক বলেন, পোর্টালে বুকিংয়ের সময় গাড়ি প্রতি ১০ হাজার টাকা এবং প্রতি মেট্রিকটনে ৫৫০ ডলারের চুক্তিতে পেঁয়াজ রফতানি করা হয়। কেন্দ্র সরকারের যে বিজ্ঞপ্তি আমাদের কাছে আছে তাতেও সেটাই উল্লেখ। সেই অনুযায়ী আমরা রবিবার এলটি সহ অনান্য প্রক্রিয়া শুরু করছিলাম। এদিন গাড়ি লোডিং করে সোমবার থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্ত এদিন আমরা শুল্ক বিভাগে গিয়ে অবাক হই। শুল্ক বিভাগ থেকে জানানো হয় যে, পেঁয়াজ রফতানির ওপর বাড়তি ৫০ শতাংস ডিউটি কর বা রফতানি কর বসানো হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি শুল্ক বিভাগের কাছে এসেছে। কিন্ত আমরা তেমন কোনো বিজ্ঞপ্তি পাইনি। এরপরেই এদিন এলটি ও গাড়ি লোডিং হয়নি। সোমবার বিষয়টি নিয়ে পরিস্কার হব আমরা। আমাদের মনে হয়, ৫০ শতাংস ডিউটি দিয়ে বাংলাদেশের পরতা হবেনা। ফলে বাংলাদেশ পেঁয়াজ নেবেনা। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ থাকার আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে।