গণধর্ষণের ২৫ দিন পরেও অধরা অভিযুক্তরা! পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ আদিবাসী মহিলা। বাড়িতে একাকি থাকার সুযোগ নিয়েই ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।

0
39

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দিন পরেও অধরা অভিযুক্তরা! বিচারের আশায় জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ অসহায় আদিবাসী মহিলা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের রামকৃষ্ণপুর এলাকার। জানা গেছে, গঙ্গারামপুরের সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা ত্রিশ উর্দ্ধ ওই আদিবাসী মহিলাকে বাড়িতে একাকি থাকার সুযোগ নিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী জাফরপুর গ্রামের তিন আদিবাসী যুবকের বিরুদ্ধে। যে ঘটনা জানিয়ে গত ১৯ এপ্রিল কৃষ্ণ সরেন, চন্দন মুরমু ও সমাই কিস্কুর বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই আদিবাসী মহিলা। কিন্তু তারপরে প্রায় একমাস অতিক্রান্ত হলেও অধরা রয়েছে অভিযুক্তরা। যার প্রতিবাদেই এদিন জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন অসহায় ওই আদিবাসী মহিলা। তার অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই তিন যুবক বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে চলছিল। যার প্রতিবাদ করাতে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় ওই অভিযুক্তরা। এরপরে গত ১৮ এপ্রিল রাতে তার বাড়িতে স্বামী ও শ্বাশুড়ি না থাকার সুযোগ নিয়ে টিনের দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে অভিযুক্ত যুবকেরা একের পর এক ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। যে ঘটনা জানিয়ে পরদিনই গঙ্গারামপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরে প্রায় একমাস অতিক্রান্ত হলেও অভিযুক্ত যুবকদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। যা নিয়েই এদিন বালুরঘাটে ছুটে এসে জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই আদিবাসী মহিলা। তার দাবি, অবিলম্বে ওই তিন অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে হবে।

আক্রান্ত মহিলা জানান, বাড়িতে একাকি থাকার সুযোগ নিয়ে ওই তিন যুবক তাকে ধর্ষণ করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করবার পরেও পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করছে না তা নিয়েই পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।

আদিবাসী সংগঠনের জেলা নেতা সন্তোষ হাসদা বলেন, একাকি থাকার সুযোগ নিয়ে ওই আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী গ্রামের তিন যুবক। যারা গ্রেফতার না হবার কারনে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।