অগ্নিমিত্রা পল এবং প্রনত টুডু এর সমর্থনে মেদিনীপুরের পিড়াকাটায় শুভেন্দুর জনসভা।

0
60

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- কয়েকদিন পরেই লোকসভা নির্বাচনের ৬ ষ্ঠ দফায় নির্বাচন জঙ্গলমহলে। তার আগে রাজনৈতিক প্রচারে পিছিয়ে থাকতে চায়না কোনো দলই। শনিবার বিকেলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীমতি অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে পিড়াকাটায় বিজয় সংকল্প সভায় অংশ গ্রহন করেন। চোর মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিজেপি প্রার্থী কে বিপুল সংখ্যক ভোটে নির্বাচিত করে আরো একবার মোদী সরকার গড়ার আহ্বান জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঞ্চের পাশে থাকা সাধারণ মানুষের সাথে এসে হাত মেলান তিনি।লোকসভা ভোটের আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ফের একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকালই ঝাড়গ্রামের এক সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, ছত্রধর মাহাতোর হাত ধরেই তিনি প্রথম জঙ্গলমহলে ঢুকেছিলেন। আর এবার সেই ইস্যু নিয়ে মমতাকে তুমুল আক্রমণ শুভেন্দুর। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘উনি বলছেন ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক। আমি বলি, ছত্রধর মাহাতো যদি আপনার লোক হয়, কিষেনজিও আপনার লোক। তাহলে জ্ঞানেশ্বরী হত্যাকাণ্ডের দায়িত্বও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিতে হবে।’ শনিবার বিকেলে মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর সমর্থনে শালবনির পীড়াকাটায় সভা করেন শুভেন্দু। সেই সভামঞ্চ থেকেই মমতার গতকালের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পাল্টা বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা।

শুক্রবার লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বে ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মমতার মুখে শোনা গিয়েছে ছত্রধরের কথা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, “আমার সেই দিনের কথা মনে আছে। আমি প্রথম জঙ্গলমহলে প্রথম যাঁর হাত ধরে ঢুকি তাঁর নাম ছত্রধর মাহাতো।” সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আজ শালবনির সভা থেকে তৃণমূল নেত্রীকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা। পরে মঞ্চ থেকে নেমে শুভেন্দু বলেন, “উনি জঙ্গলমহলে অনেক বার এসেছেন। লোকের কাঁধে ভর দিয়ে এসেছেন। ২০০৮ সালে ছত্রধর মাহাতোকে ব্লক প্রেসিডেন্ট করেছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতির ২টি আসন ও পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিট সেদিন তৃণমূল জিতেছিল। তারপর ছত্রধর জনসাধারণের কমিটি তৈরি করেন।”

এরপর বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, “নেতাই গণহত্যার বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। জনসাধারণের কমিটি ও সিপিএমের যৌথ বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধেই মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভরসা করেছিলেন।”