কার্তিক মহারাজ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষের বিরুদ্ধে নদীয়ার সকল ধর্ম সমন্বয়ে প্রতিবাদী সভা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকে।

0
51

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- পূজপাদ স্বামী প্রদিপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এই সন্ন্যাসী এখন রাজ্য রাজনীতিতে আলোচিত নাম। নির্বাচনী প্রচার থেকে তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নাম নিয়ে সমালোচনা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনার পাল্টা হিসাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের। এত কিছু যাঁকে নিয়ে, তিনিও বোমা ফাটালেন মাত্র দুদিন আগে। দাবি করলেন, বিজেপি তো বটেই তৃণমূলের তরফেও তাঁকে এই নির্বাচনে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি।
গোঘাটের জনসভা থেকে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সাধু কার্তিক মহারাজের প্রবল সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব সাধু তো সমান হয় না। সব সজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরে একজন মহরাজ আছেন, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সংঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘের তালিকায় তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে আছেন। কিন্তু যে লোকটা বলে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। কারণ তিনি ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছেন। আমি আইডেন্টিফাই করেছি কে কে করেছেন।

আর এই নিয়ে একদিকে যেমন ধর্মীয় আবেগে আঘাত লেগেছে তেমনি রাজনৈতিক পারদ চড়েছে লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সময়ে । দেশজুড়ে প্রায় সমস্ত হিন্দু সনাতনী ধর্মের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
আজ নদীয়ার কৃষ্ণনগরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে জেলার সকল ধর্মীয় সংস্থা এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠানের ধর্মগুরুরা একত্রিত হয়ে একটি প্রতিবাদী মিছিল করেন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ী থেকে শুরু করে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত। সংগঠনের সদস্য বঙ্গের সন্ত প্রমুখ জগদ্ধাত্র প্রিয় দাস জানান একটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এটা কখনোই কাম্য নয় ভারত সেবাশ্রম ইসকন এবং রামকৃষ্ণ মিশন সম্পর্কে হয়তো তার ধারণা নেই। বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মরণ রোগ সহ বিভিন্ন সমাজ কল্যাণে দাতব্য চিকিৎসায় শিক্ষা এমন কি জীবন জীবিকা বিষয়েও শোষিত নিপীড়িত দরিদ্র মানুষের সেবা করে থাকে এ ধরনের ধর্মীয় সংগঠনগুলি তাই রাজনৈতিক সহজাত প্রবৃত্তিতে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন তা নিছক ই নিজেকে মূর্খ প্রমাণিত করা ছাড়া আর কিছু নয় অবিলম্বে সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত এই বিরূপ মন্তব্যের জন্য না হলে সারা পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই সারা ভারতবর্ষের সমস্ত ধর্মীয় সংগঠন একত্রিত হয়ে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাবে।