পরিবর্তন যে তাদের মুখের কথাই থেকে গেছে তা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার অন্তর্গত জলঘর এলাকার প্রায় ১৪ টি গ্রামের বাসিন্দারা।

0
52

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- কর্মসংষ্কৃতির পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা বামকে ভোটে পরাজিত করে স্থানিও পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় এসেছিল তৃনমুল।কিন্তু তৃনমুল নেতৃত্ব মুখে যতই দাবি করুক কর্মসংষ্কৃতির পরিবর্তনের , সেই পরিবর্তন যে তাদের মুখের কথাই থেকে গেছে তা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার অন্তর্গত জলঘর এলাকার প্রায় ১৪ টি গ্রামের বাসিন্দারা।
জলঘর এলাকার রাজ্য সড়কের মোড় থেকে জলঘর হাট হয়ে যে রাস্তাটি সীমান্ত বরাবর বি এস এফ ক্যাম্প অবদ্ধি চলে গেছে। দীর্ঘ কয়েক মাইল এই কাচা রাস্তাটি সংষ্কার করে পাকা রাস্তায় রুপান্তর না বাম না ডান ক্ষমতায় থাকা পঞ্চায়েতের তরফে আজও করা হয় নি। অথচ এই রাস্তাটির৷ উপর নির্ভরশীল হাটে আসা ব্যবসায়ী সহ ক্রেতা বিক্রাতারা তো বটেই পাশাপাশি আশপাশের প্রায় ১৪ টি গ্রামের ১৫ হাজারের মত বাসিন্দারা। খানা খন্ডে ভরা এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয় নিত্যদিন স্কুল কলেজের পড়ুয়া থেকে নিত্যদিনের নিজেদের প্রয়োজনিয় কাজে বালুরঘাট শহরে ছুটতে হয় বাসিন্দাদের।এছাড়াও অসুস্থ্য রোগী বা গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় দুষ্কর হয়ে পরে এই খানা খন্ডে ভরা রাস্তা দিয়ে।হামেশাই এই কারনে বাসিন্দা ও স্কুল পড়ুয়াদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় এই বেহাল রাস্তার জন্য। খানা খন্ডে ভরা রাস্তায় জল জমে বর্ষায় তা চরমে ওঠে, এক হাটু কাদা ভেংগে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। অথচ স্থানিও বাসিন্দাদের অভিযোগ তারা ক্ষমতায় থাকা কি বাম কি তৃনমুলের পঞ্চায়েতের কাছে বার বার জেলা পরিষদের মধ্যমে এই কাচা রাস্তাটি পাকা রাস্তা বানানোর দাবি জানিয়ে আসলেও কোন দলের পক্ষ থেকেই কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। অথচ এই রাস্তার উপর নির্ভর শীল ১৫ হাজার বাসিন্দাকে দিনের পর দিন বাধ্য হয়েই খানা খন্ডে ভরা রাস্তা দিয়ে প্রান হাতে করে চলা ফেরা করতে বাধ্য হচ্ছেন।পাশাপাশি সীমান্তে বি এস এফ ক্যাম্পে ও যাতায়াতে জওয়ানদের সমস্যায় পড়তে হলেও উদাসীন তৃনমুল পরিচালিত জলঘর পঞ্চায়েত বলে স্থানিওদের অভিযোগ।।