সব খবর নিউজ ডেস্ক:- ভোট শেষ। এবার ফাইনাল রেজাল্ট। উঠে আসছে বুথ ফেরৎ বিভিন্ন সমীক্ষা। এক্সিটপোলে কোথাও পাল্লাভারি তৃণমূলের কোথাও বিজেপি’র। কোন কোন ক্ষেত্রে এই এক্সিটপোল মিলে গেলেও আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে হিসেব উল্টে যায়! নিশ্চিৎ জয়ী প্রার্থীও হেরে যাওয়ার উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে কি ভুল এক্সিট পোলের হিসেব নিকেষ? না কি এর পিছনে থাকে গভীর কোন ষড়যন্ত্র ? হিসেবটা যদি সঠিক, সুনিপুণ এবং গভীর ভাবে কাটা ছোঁড়া করা যায় তাহলে তার পেছনের কারণও কিছুটা আঁচ করা যায়। আর কাউন্টিংএর আগে এই বিষয় গুলিকেও ভালো করে পরখ করে নিতে হবে বিজেপি সহ প্রতিটি বিরোধী দলকে। নাহলে হাওয়া কখন অন্য পথে বাঁক নেবে টেরই পাবে না তারা। তাই রেজাল্টের পরে নয়, তার আগেই এই গোপন হিসেব নিয়ে কাটা ছেঁড়া করতে হবে দলকে। রেজাল্টের পরে করে কিছুই লাভ হবে না। এমন করে চার বছর, চার বছর পেরিয়ে যাবে। প্রাশান্ত কিশোর বাংলার রাজনীতিতে কাউন্টিংএর ক্ষেত্রে যে কঠিন রাজনীতি র সমীকরণ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই সমীকরণকে দ্রুত কাটা ছেঁড়া করে উত্তর খুঁজে নিতে হবে। হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে আসল রহস্য—
গণনা কেন্দ্রে এজেন্টদের কি কি করণীয়—
১) গণনার দিন রণকৌশল সঠিক ভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
২) যে সকল দলীয় এজেন্ট কাউন্টিংএর দিন থাকবেন তাদের চরম বিশ্বস্ত হতে হবে – এমন ক্যান্ডিডেটকে নির্বাচিত করতে হবে। কারন, বিক্রি হয়ে যাওয়া এমন কিছু এজেন্ট গুলিয়ে দিতে পারে সব হিসেব নিকেষ।
৩) এগিয়ে গেলে গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্প ছাড়া যাবে না। এক্ষেত্রে অভিষেক ব্যানার্জী দলীয় কর্মী দের দেওয়া বার্তা বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপির কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ -“বিরোধী হয়ত প্রথমে এগিয়ে গেল, তার মানে বেরিয়ে আসব এটা হবে না। ‘ বিজোপিকে শাসক দলের কিছু বক্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। না হলে এগিয়ে গিয়েও পিছিয়ে যাওয়ার হিসেব এমন চিত্র উঠে আসতে পারে। তাই সচেতন থেকে শেষ পর্যন্ত কাউন্টিংএ থাকতে হবে। দলের এজেন্ট সকলকেই সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। একজনের ওপর না ছেড়ে সকলকেই শেষ পর্যন্ত সক্রিয় থেকে হিসেব নিকেশ বুঝে নিতে হবে।
৪) কাউন্টিংয়ের আগে ইভিএম এর সিল ভালো করে চেক করে নিতে হবে।
৫) বুথ ভিত্তিক সকল ইভিএম মেশিন গুলো চেক করে নিতে হবে দলের এজেন্টকে এবং দলের পক্ষ থেকে যে নাম্বর দেওয়া হয়েছে তা গণনা শুরুর আগেই বার বার মিলিয়ে নিতে হবে।
৬) প্রত্যেকটি ই ভি এম এর পেছনে সেই দলের এজেন্টের সই এবং স্টাম্প আছে কিনা চেক করে নেওয়া জরুরী দরকার। এটি সব দলের ক্ষেত্রেই সমান ভাবে প্রযোজ্য।
৭) যখন গণনা শুরু হবে একটি নির্দিষ্ট বোতাম টিপলে সেই রেজাল্টটা ডিসপ্লেতে দেখিয়ে দেবে। সেই জিনিস টা দেখে কাউন্টিং এজেন্টকে চেক করে নিতে হবে স্বচক্ষে । প্রয়োজনে বার বার রি-চেক করে মিলিয়ে নিতে হবে। কেবল মুখের কথায় সম্পূর্ণ বিশ্বাস করলে রেজাল্টে ভুল প্রভাব পরতে পারে। এ ক্ষেত্রে দলের প্রতিটি নির্বাচিত এজেন্টকে সক্রিয় থাকতে হবে গণনার একদম শেষ পর্যায় পর্যন্ত।
৮) তাই, স্মার্ট ও শিক্ষিত এজেন্টকে নিয়োগ করতে হবে। এজেন্টেরও যে একটা বিশাল দ্বায়িত্ব রয়েছে তা অনুভব করতে হবে। ক্ষুদ্র স্বার্থে বিকিয়ে গেলে হবে না। তাহলে দীর্ঘদিনের পরিশ্রম বিফলে যাবে।
৯) সর্বোপরি, প্রার্থীদেরও শেষ পর্যন্ত কর্মীদের সঙ্গে জুড়ে থাকতে হবে।
এমন করে কিছু যদি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা হয় তাহলে কাউন্টিংয়ের সময় হিসেব পাল্টে দেওয়ার যে গোপন রাজনৈতিক বোঝাপড়ার সমীকরণ তৈরি হয়েছে তা হয়তো রোধ করা যেতে পারে।