জামায় ষষ্ঠী বাজারে আসতে শুরু করে দিয়েছে জলভরা কচি তালশাঁস।

0
64

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা — মালদার তাপমাত্রা বেশি থাকায়,গরমের পরিমাণ বেশি।আর এই সময় আম-জাম-কাঁঠালের পাশাপাশি জায়গা করে নেয় তাল শাস। মূলত ভাদ্র মাসে পাকা তাল বাজারে আসতে শুরু করে। তালের বড়া,তালের ক্ষীর,তালের রুটি আম বাঙালির প্রিয় খাদ্য। কিন্তু তার অনেক আগেই বাজারে চলে আসে কচি তাল।খাদ্যগুণ, পুষ্টি এবং স্বাদের জন্য কচি তালের শাঁস এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।আর তাই তাল একটু পুষ্ট হতেই বাজারে দেখা মেলে তালশাঁসের। গ্রামীণ এলাকার অনেক কৃষকেরা গাছ থেকে তাল পেড়ে গাজোল শহরে নিয়ে আসেন বিক্রি করতে।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।জামায় ষষ্ঠী বাজারে আসতে শুরু করে দিয়েছে জলভরা কচি তালশাঁস।
তবে শুধু স্বাদের জন্যই নয়, তালশাঁস শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। তালশাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে জল শূন্যতা দূর করে। এছাড়াও তালশাঁসের রয়েছে বেশ কিছু উপকারী ভিটামিন,প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের জন্য আরও বেশ কিছু উপকারী বস্তু রয়েছে এই তালশাঁসে। তবে আমজনতা এত কিছু বোঝেনা। মূলত স্বাদের জন্য কিনে নিয়ে যায় কচি তালশাঁস।
এদিন গাজোলের রাঙাভিটা ফ্লাইওভারের নিচে দেখা গেল বিজয় বর্মন এবং তার স্ত্রী পাপন বর্মনকে।গ্রাম থেকে কচি তাল সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে।গ্রাহকদের চাহিদা মতো কচি তাল কেটে শাঁস বের করে বিক্রি করছেন। চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। বিজয় বাবু জানালেন,গ্রাম থেকে তাল সংগ্রহ করে প্রতি বছরই গাজোলে নিয়ে আসি বিক্রি করতে। এবার দশ টাকায় তিন পিস করে তালশাঁস বিক্রি করছি। অর্থাৎ একটি তালের দাম পড়ছে দশ টাকা। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আমরা তাল সংগ্রহ করি। তারপর তা বিক্রির জন্য নিয়ে আসি বাজারে । জামাইষষ্ঠী পর্যন্ত তালশাঁস এর চাহিদা থাকে। তবে তার আগে পরেও বিক্রি হয়। প্রতিদিন গড়ে ২০০০ থেকে ২২০০ তাল কেটে বিক্রি করি।তবে যতদিন তালশাঁস কচি থাকবে ততদিন বিক্রি হবে। বছরের এই কটা দিন বেশ ভালই আয় হয় তাদের।