বিজেপি পরিবারের নেশাজাত দ্রব্যের বিক্রির , প্রতিবাদে আক্রান্ত এক তৃণমূল পরিবার, রাজনৈতিক নয় একান্তই পারিবারিক বলে অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির।

0
51

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- এলাকায় বসছে জুয়ার ঠেক, মদের আসর, এবং রমরমিয়ে চলছে অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্যের ব্যবসা। এরই প্রতিবাদ করতে গেলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার বিজেপির। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গবারচর পশ্চিম পাড়া এলাকার। ওই অঞ্চলের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য প্রাণ কুমার বিশ্বাসের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তার উপর বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ করার চেষ্টা করে বিজেপির অন্যান্য কিছু কর্মী। বেশ কয়েকদিন ধরেই গবারচর পশ্চিমপাড়া এলাকায় সন্ধ্যে নামলেই বসে মদের আসর, জুয়ার ঠেক ও বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতক দ্রব্যের ব্যবসা। এলাকার মহিলারা তাকে একজোট হয়ে জানিয়েছিলেন। অভিযোগ সেই মতো প্রাণ কুমার বিশ্বাস ওই অঞ্চলের বিজেপির বুথ সভাপতিকে অভিযোগ জানাতে যান। অভিযোগ এর পরেই প্রান কুমার বিশ্বাসের উপর হঠাতই আক্রমণ চালায় কিছু দুষ্কৃতী। তাকে লোহার রড ও অন্যান্য বস্তু দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তৃণমূল কর্মীর হাতে গুরুতর আঘাত লাগে, সাথে সাথেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিপুর হাসপাতালে, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, এরপর তৃণমূলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সূত্রের খবর গতকাল রাতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। বুধবার ধৃতদের রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালতে পাঠানো হয়। যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওই অঞ্চলের ২৪০ নম্বর বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি গৌরাঙ্গ বিশ্বাস। তার দাবি এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের চক্রান্ত, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ওই অঞ্চলে ভালো ফলাফল করেছে, তাই এই ধরনের অভিযোগ তুলে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলেও কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয় , প্রতিবেশীদের মধ্যে সমস্যা রং চড়ানো হয়েছে রাজনীতির।
আমরা বিষয়টি দলীয় নেতৃত্ব কে জানিয়েছি, তারা যা ব্যবস্থা নেবেন আমরা সেই পথেই চলবে। অন্যদিকে গোটা ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে শান্তিপুর থানার পুলিশ।