নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- সোলার লাইট খোলা নিয়ে বিবাদের জের। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলালো তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরে প্রধান পঞ্চায়েত সদস্যদের আটকে রেখে তালা তৃণমূলের। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে তালা খুলে মুক্ত করে আটকে থাকাদের। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে ফালাকাটার জটেশ্বরে। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিল তৃণমূল। ঘটনাটি ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা যা নিয়ে পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে তৈরি হয় উত্তেজনা। তালা বন্ধ অবস্থায় দপ্তরের ভিতরে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকেন প্রধান, উপ প্রধান সহ পঞ্চায়েতে অফিসের কর্মীরা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দেওয়ার পর মুক্ত হন তারা। তৃণমূলের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন থেকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় সোলার লাইট চুরি হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এদিন দুস্কৃতিরা সোলার লাইট নিজে যাচ্ছে সেই সময় তাদের হাতে নাতে ধরে গ্রাম পঞ্চয়েত অফিসে নিয়ে আসা হয় কিন্তু প্রধান সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। তাই আমাদের দাবি অবিলম্বে যারা এই চুরির সঙ্গে যুক্ত তাদের পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে হবে। অপর দিকে বিজেপির দাবি, সোলার লাইট নষ্ট হয়ে যায় তারপর ওই সোলার লাইট খুলে এনে ঠিক করে ফের বসাতে যাওয়া হয় আজ। সেটাকে নিয়ে তৃণমূল হওয়া গরম করতে চাইছে। আজ তৃণমূল যেভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢুকে তালা দিয়ে দেয় তার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা। এদিন অনেক জনসাধারণ সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হলো বলে দাবি করেন জটেশ্বর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষী পাল।