প্রাইভেট টিউশন সংক্রান্ত অমর্যাদাকর মুচলেকার প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুর DPSC তে BPTA র ডেপুটেশন।

0
46

তমলুক পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :- শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন সংক্রান্ত অমর্যাদাকর মুচলেকার প্রতিবাদে আজ পূর্ব মেদিনীপুর DPSCর সভাপতি কে ডেপুটেশন দিল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
প্রসঙ্গত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১৮ জুলাই এক নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ টিউশনের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তাই প্রত্যেক শিক্ষক – শিক্ষিকাকে টিউশন পড়ান না বলে মুচলেকা দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের সহশিক্ষক – শিক্ষিকাদের মুচলেকার বয়ানে পাল্টা স্বাক্ষর দিয়ে গ্যারান্টার হতে হবে। এই মুচলেকা অবমাননাকর বলে অভিযোগ তুলে আজ ডেপুটেশন দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন সমিতির জেলা সম্পাদক সৌমিত্র পট্টনায়ক, সভাপতি গোকুল মুড়া
সৌমিত্র পট্টনায়ক বলেন “আমরা সমিতির পক্ষ থেকে মনে করি শিক্ষকদের টিউশনের সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত নয়। পাশাপাশি আমরা মনে করি, ডিউটির সময়সীমার মধ্যে শিক্ষকরা ক্লাস ফাঁকি দিচ্ছেন কিনা তা দেখা দরকার। স্কুলের সময়ের মধ্যে টিউশন বা অন্য কাজে নিযুক্ত থাকলে তা কখনও সমর্থনযোগ্য নয়। এই সময়ের বাইরে শিক্ষকদের উপর নজরদারি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ ও অমর্যাদাকর।
বাস্তবে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের ভ্রান্ত শিক্ষানীতি ও পাশফেলহীন পরীক্ষা ব্যবস্থা, শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ না করার কারণে অভিভাবকরা বাধ্য হচ্ছেন ছেলেমেয়েদের টিউশন দিতে। এসব পর্যালোচনা না করে মুচলেকার মধ্য দিয়ে জনসাধারণের কাছে শিক্ষক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করার নামান্তর। এমতাবস্থায় আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। “এমনকি সহ‌ শিক্ষকদের মুচলেকাতে পাল্টা স্বাক্ষর করা প্রধান শিক্ষকদের এক্তিয়ারে পড়ে না । এর মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সদ্ভাব নষ্ট হয়। এটিও অমর্যাদা কর। পূর্বতন ফ্রন্ট সরকারের সময় এই ধরনের মুচলেকা নেয়া হয়েছিল কিন্তু টিউশনে জমরমা বন্ধ হয়নি। শ্রেণী ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ পরিকাঠামো গড়ে তুললে টিউশনের রমরমা বন্ধ হবে।