পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহজপাঠই এই বছর পুজোর থিম! বিশ্বকবি স্মরণ ও শৈশবের স্মৃতি এবছরের পুজোয় জোড়া নস্টালজিয়ায় রয়েছে ঐকতানে পুজো মন্ডপে।রয়েছে সাবেকি আমেজও।
শৈশবের সহজপাঠই এবার এই পুজোর থিম। এই পূজো মানে ছোটবেলার একরাশ নস্টালজিয়া। তার উপর এই ভাবনা উসকে দিল আরেক শৈশবের গল্প।
৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল চন্দনপুর ঐক্যতান জনকল্যাণ সমিতির শারদোৎসব। প্রতি বছরই তাদের পুজোয় ভিন্নরকমের ভাবনা থাকে। এই বছরও তাঁর ব্যতিক্রম হল না।
২০২৪ সালে তাদের পুজোর ভাবনায় উঠে এল শিশুদের কথা। ছোটদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যে ভাবনাগুলি সম্পৃক্ত, তাই ফুটিয়ে তোলা হবে মণ্ডপসজ্জায়। তাই এই বছর চন্দনপুর ঐকতানের পুজোর থিম ‘সহজপাঠ’।
সহজপাঠ’ মানে এখনও শিশুদের কাছে একটা আস্ত শৈশব। যে শৈশবে স্পর্শ রেখেছেন স্বয়ং বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর । বিশ্বকবিকে স্মরণ করে এই পুজোর পরিকল্পনা।
প্রসঙ্গত, থিমকে বাস্তবায়িত করতে সহজপাঠের বইয়ের ছবিগুলিকে ফুটিয়ে তোলা হবে মণ্ডপে। যে অবিস্মরণীয় ছবিগুলির স্রষ্টা ছিলেন শান্তিনিকেতনের মাষ্টারমশাই শ্রী নন্দলাল বসু। সহজপাঠ রচনা করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশেষভাবে এই ছবিগুলি আঁকতে বলেন নন্দলালকে।
এবার সেই ছবিগুলি দিয়েই গড়ে তোলা হবে চন্দনপুর ঐক্যতানের মণ্ডপ। দুর্গাপুজো ঘিরে যেমন বাঙালির নস্টালজিয়া থাকে, তেমনই সহজপাঠ ঘিরেও রয়েছে অনেকের অনেক স্মৃতি। সেসব স্মৃতিই উসকে দিচ্ছে ঐক্যতানের এই বছরের থিম,এই বছর এই পুজো দেখতে ভিড় জমাবেন অসংখ্য মানুষ আশায় বুক বাধছেন সংস্থার সদস্যরা।
আজ খুঁটি পুজোর মধ্যদিয়ে এবছর পুজোর শুভ সুচনা করলো এই ক্লাবে।
উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি পার্থসখা দাস মহাপাত্র, সম্পাদক সৌগত মহান্তি, শান্তনু দাস মহাপাত্র, জগন্নাথ দাস।
পুজোর কদিন থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা ও সমাজসেবা মুলক কর্মসূচি