খুনের ঘটনায় আশাদুল্লাহ’র ছেলে সরফরাজ বিশ্বাস-সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ।

0
49

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- গত ১৮ অগস্ট মালদহের কালিয়াচকের মোজমপুরে এক সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের সামনেই অহেদুল শেখ নামে স্থানীয় এক যুবক খুন হন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে তৃণমূল নেতা আশাদুল্লাহ বিশ্বাসের। ওই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে আশাদুল্লাহ’র ছেলে সরফরাজ বিশ্বাস-সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মোজমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মহাম্মদ সারিউলও। ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সেই এফআইআরে মূল অভিযুক্ত হিসাবে তৃণমূল নেতা আশাদুল্লাহ বিশ্বাসকে পুলিশ খুঁজছিল। আসাদুল্লাহ বিশ্বাস গ্রেপ্তারি এড়াতে দিল্লিতে এক গোপন ডেরায আত্মগোপন করেছিলেন।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) এম হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার গোপন ডেরা থেকে আশাদুল্লাহকে গ্রেফতার করে।
সূত্রে জানা গিয়েছে,জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, ইডি’র খাতায় আশাদুল্লাহ বিশ্বাসের নামে অন্তত ৫০ টি মামলা রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল হিসাবে পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে।আরও অভিযোগ সে আন্তঃরাজ্য জাল নোট পাচার চক্রের মূল মূল হোতা।
স্বাভাবিকভাবেই দিল্লিতে আশাদুল্লাহ’র গ্রেফতার হওয়ায় মালদা জেলা তৃণমূল শিবিরে অস্বস্তি বাড়ল। যদিও মালদহ জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আশাদুল্লাহ বিশ্বাস দলের একজন সমর্থক মাত্র। তাঁর নিকট আত্মীয় রাহুল বিশ্বাস তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি এবং আর এক আত্মীয় তারেক বিশ্বাস দলের অঞ্চল সভাপতি পদে রয়েছেন। তবে আশাদুল্লাহ তৃণমূলের কোনও পদে নেই।