দুপুর সাড়ে তিনটা নাদাগ জলের তলা থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয় নিখোঁজ নাবালকের৷

0
51

পঃ মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যান্য স্থানের সঙ্গে কেশপুর ব্লকেও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। সেই প্লাবিত পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়েছিল নাবালকেরা। রাস্তা পার হওয়ার সময় নাবালকদের তিন জন একসঙ্গে ভেসে গিয়েছিল। কোনভাবে দুজন উদ্ধার হতে সক্ষম হলেও এক নাবালকের হদিস মেলেনি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে। খবর পেয়েই ছুটে এসে ওই এলাকার জলের স্রোতেই ঝাঁপ দিলেন কয়েকশো গ্রামবাসী। সকাল থেকেই খোঁজ শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বেলা ১১:৩০ নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার অন্তর্গত ভেলাঘাট এলাকায়। কয়েকশ গ্রামবাসী উত্কন্ঠার সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন বন্যার প্রবল স্রোতে ৷ চারঘন্টা ধরে প্রবল সেই স্রোতেই লড়াই করে গ্রামবাসীরাই উদ্ধার করলেন নিখোঁজ নাবালকের নিথর দেহ ৷ শোকের পরিবেশ ওই এলাকায় ৷

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর দশের ওই নাবালক সেখ গিয়াসুদ্দিনের বাড়ি কেশপুরের জগন্নাথপুর এলাকাতে। ওই এলাকার বেশিরভাগ অংশই প্লাবিত। গ্রামের অন্যান্য কয়েকজনের সঙ্গে সে বন্যা দেখতে বেরিয়েছিল। বন্যার জলের স্রোতের মধ্য দিয়েই রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। ঠিক তখনই জলের স্রোত বেশি থাকায় পরপর তিন জন স্রোতে ভেসে যায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। কোনভাবে সঙ্গে থাকা দুজন ডাঙ্গায় উঠতে সক্ষম হলেও একজন ভেসে চলে যায়। তারা গ্রামে গিয়ে দ্রুত খবর দেয়। তারপর থেকেই গ্রামবাসীরা ওই এলাকার জলের স্রোতে ঝাঁপ দিয়ে খোঁজ শুরু করে ৷ খবর দেওয়া হয় প্রশাসনের আধিকারিকদের ৷ অন্যদিকে গ্রামবাসীরাই সারাদিন প্রবল বন্যার স্রোতের মধ্যে লড়াই চালিয়ে খোঁজ জারি রাখে ৷ প্রশাসনের পদক্ষেপের অপেক্ষা না করেই তল্লাশি চলে ৷ পরে দুপুর সাড়ে তিনটা নাদাগ জলের তলা থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয় নাবালকের৷