দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদ:- সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের তিল তিল করে জমানো টাকা নিয়ে পলাতক সমবায় সেবা সমিতি লিমিটেডের ম্যানেজার। ফলে গ্রামবাসীরা দীর্ঘ ৭ ঘন্টা আটকে রাখেন সমবায়ের স্পেশাল অফিসারকে। ঘটনাটি বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়াতোড়ী সমবায় সেবা সমিতি লিমিটেডের। লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সমবায়ের স্পেশাল অফিসারকে এদিন দুপুর থেকে অফিসে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার পুলিশ। জানা গেছে, ১৯৩৯ সালে এই সমবায়ের প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে এখানে ১৮০০ গ্রাহক রয়েছেন। কান্তোর, ঘোড়াতোড়ী, নিধিরামপুর, পিরিজপুর, ছানুচ সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ তাঁদের কষ্টের গচ্ছিত টাকা রেখেছেন এখানে। গ্রাহকরা তাঁদের গচ্ছিত টাকা সমবায় থেকে তুলতে গেলে দু’মাস ধরে টালবাহানা করছেন। এই সমবায়ের স্পেশাল অফিসার তথা কো-অপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট অফিসার বিশ্বজিৎ মজুমদার স্বীকার করে নেন এই সমবায়ের ম্যানেজার আনামত মোল্লা গরিবের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। গ্রাহকদের থেকে জানা যায় কারোর মেয়ের বিয়ে রয়েছে, কারোর নিজস্ব দরকার রয়েছে, এছাড়াও মন্দির, মসজিদ প্রত্যেকেরই টাকা রাখা রয়েছে এই সমবায়ে। গ্রাহকরা জানান, যতক্ষণ না কোনো সুরাহা হচ্ছে ততক্ষণ স্পেশাল অফিসারকে আটকে রেখে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন। অবশ্যই রাত্রি সাড়ে ৭ টা নাগাদ জেলা সমবায় আধিকারিক গ্রাহকদের আশ্বাস দিলে স্পেশাল অফিসার বিশ্বজিৎ মজুমদারকে ছাড়া হয়। তবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ-এর ব্যাপারে জেলা সমবায় আধিকারিককে সংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। বরং চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন। তবে গ্রাহকরা কী আর টাকা পাবে কী পাবে না, প্রশ্ন থেকেই গেল???