দুর্বিসহ এক অসহ্য অজানা যন্ত্রনা-
রাতভরে জোনাকির আলোয় পথ খোঁজে গৃহস্থের বুকে,
করোনা আজ অদৃশ্য দেহে কালো মেঘে এলিয়ে –
নিভৃতে রমন সুখে তৃপ্ত বংশবিস্তারে।
আমি জীবন নদীর চড়ায় স্বস্তি খুঁজি –
নিত্য ভয়ংকর ভাঙ্গনের দুইকুলে।
বেগবতী নির্মম অভিশাপ পোয়াতি হয়,আরে-বহরে বাড়ে,
মাঠে,ঘাটে, রণে,বনে,জঙ্গলে প্রসব করে মহাধ্বংস ।
বেলা,অবেলায় দুসংবাদ চিঠিতে গুঁজে ত্রস্তে-
রাতের অন্ধকারে ছুটে চলেছি অসহায়-
আমি এক অনাহুত হরকরা, মিথ্যা সুখের –
প্রতিশ্রুতি বয়ে বয়ে পৌঁছে দিচ্ছি অন্তরঙ্গের চলচিত্রে।
হয়তো কোন এক প্রভাতে নিদ্রাভেঙে-
আমাকেই ডেকে পাঠাবে সর্পবিষ হরি ,এ খাণ্ডবে-
বয়সের কপাট অসমর্থ প্রতিরোধে , দুঃস্বপ্নে মাতাল অশনি ।
নীল কাগজের নৌকায় রেখে যাবো হৃদয়ের কবিতা
একদিন-প্রতিদিন ,নিত্যদিন সকাল,সন্ধ্যা,রাতভর…….
এতদিনের অমূল্য সঞ্চয়ের প্রাণপ্রিয়রা পরে রবে সন্ধ্যা সবিতায়,
ফের যদি ফিরে আসি ,যেন আরো তেজ নিয়ে আসি।
আটান্নবছরের টাইমজোনে বসে আজ সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়,
বারবেলার এ দেহের মনিটার স্ক্রল করতে করতে হটাৎ দেখি-
হৃদয়ের স্কাইপে বসেছে অবসরেরা নিশ্চিন্তের আড্ডায়।
সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।