শক্তি আরাধনা উপলক্ষে মানব সেবা।

0
10

অভিজিৎ হাজরা, আমতা, হাওড়া :- গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার আমতা বিধান সভার গাজিপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর গাজিপুর কালচারাল সোসাইটি শক্তি আরাধনা উপলক্ষে মাতৃশক্তির আরাধনার পাশাপাশি সাতদিন ব্যাপী মানব সেবা মূলক কাজে ব্রতী হয়েছে। রক্তদান উৎসবের মাধ্যমে সাতদিন ব্যাপী মানব উন্নয়ন মূলক কাজের সূচনা হল। রক্তদান উৎসবের শুরুতেই ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেন কোঠারী মেডিক্যাল সেন্টার এর চিকিৎসক শুভেন্দু কুমার।সংঘ পতাকা উত্তোলন করেন শ্যামাকালিমাতা পূজা কমিটির সভাপতি দীপঙ্কর দত্ত। উত্তর গাজিপুর ‌’ বিবেকানন্দ ভবন ‘ এ কোঠারী মেডিক্যাল সেন্টার এর চিকিৎসকবৃন্দের সহযোগিতায় মূমুর্ষূ ও থ্যালাসেমিয়া রোগাক্রান্তদের সাহায্যার্থে রক্তদান শিবিরে আট জন মহিলা সহ পঞ্চান্ন জন রক্তদান সৈনিক পশ্চিমবঙ্গের রক্তদান আন্দোলনে রক্তদান করে মানবিকতার পরিচয় রাখলেন।রক্ত সৈনিকদের উৎসাহিত ও শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গাজিপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা চোংদার, উপপ্রধান হেমন্ত কপাট, পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষ কাজল পাল, শিক্ষক ও এ্যাডভোকেট বিমল কুমার সেনগুপ্ত, ডাঃ রণজিৎ মাঝি,প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুখেন্দু বিকাশ রীত, পূজা কমিটির সভাপতি দীপঙ্কর দত্ত, সম্পাদক মধুসূদন পাল, গাজিপুর কালচারাল সোসাইটি -র সম্পাদক বিধান মান্না প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রত্যেক রক্ত সৈনিকদের পরিবেশ দূষণ রোধে ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি করে বৃক্ষ উপহার দেওয়া হয়। গাজীপুর কালচারাল সোসাইটি -র সম্পাদক বিধান মান্না বলেন,” শ্যামাপূজা উপলক্ষে মানব কল্যাণ মূলক কাজের অঙ্গ হিসাবে রক্তদান উৎসব অনুষ্ঠিত হল। পূজার কয়েক দিনের অনুষ্ঠানে এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় তিনশত মানুষকে আমরা বস্ত্র উপহার হিসাবে দেব। অন্নকূট উৎসবে গাজিপুর গ্ৰাম সহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্ৰামের প্রায় দশ হাজার মানুষ অংশ গ্ৰহণ করবে।সংঘ – র মাধ্যমে সারা বৎসর ব্যাপী গ্ৰামীণ নানান সমাজ সেবা মূলক কাজ করে থাকি। এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় মানুষকে বস্ত্র উপহার, তাদের কন্যা সন্তান এর বিবাহে আর্থিক সহায়তা করা হয়। সন্তান – সন্ততিদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হয়।রোগগ্ৰস্ত মানুষদের চিকিৎসা পরিসেবার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হয়। এলাকার যুব সমাজকে সুস্থ সংস্কৃতির আঙিনায় ধরে রাখার জন্য ও সুস্থ সংস্কৃতির পুনঃ জাগরণে এবং প্রতিভা অন্বেষণে সপ্তাহ ব্যাপী উৎসবে আছে অঙ্কন,এসো বর্ণ দিয়ে শব্দ বানাই, স্মৃতি পরীক্ষা,বাতি প্রজ্জ্বলন, বালতিতে বল ছোড়া, মিউজিক্যাল বল সহ নানান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা।সারা বৎসর ধরে নানান সচেতনতা মূলক শিবির সংগঠিত করে এলাকার মানুষদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা হয় ” ।