দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী বোল্লা রক্ষাকালী পুজো ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রতি বছরই এই পুজোতে ভিড় জমে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্তদের। পুজোর এক অন্যতম আকর্ষণ হল বাতাসা। পুজো উপলক্ষে পতিরাম এবং আশপাশের এলাকার কারিগরেরা রাতদিন পরিশ্রম করে কুইন্টাল কুইন্টাল বাতাসা তৈরি করছেন। কিন্তু, লাভের মুখ দেখবেন কি তাঁরা? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে কারিগরদের মনে।
শুধু বাতাসাই নয়, খাজা, ছাঁচ কদম, জামসহ চিনির তৈরি নানা ধরনের ভোগের উপাদান তৈরিতেও ব্যস্ত স্থানীয় কারিগররা। ভাইফোঁটার পর থেকেই বোল্লা রক্ষাকালীর পুজোর জন্য গুণগতমান বজায় রেখে বাতাসা প্রস্তুত করছেন তাঁরা। কারও লক্ষ্য পাইকারি বাজার, কেউবা নিজে পুজোর মেলায় দোকান খুলবেন। তবে গত কয়েক বছর ধরে জেলার বাইরের ব্যবসায়ীরা বোল্লার আশেপাশেই কারখানা গড়ে বাতাসা তৈরি করায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাইকারি বিক্রির সুযোগ অনেকটাই কমেছে।
স্থানীয় কারিগরদের অভিযোগ, বাইরের কারিগররা এসে নিজেরাই কারখানা চালাচ্ছেন, ফলে তাদের লাভের অংশ কমছে। ভালো মানের চিনি ৪৪০০-৪৫০০ টাকা কুইন্টাল এবং খড়ি ৬০০-৭০০ টাকা কুইন্টাল দরে কেনার কারণে উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে। তার উপর শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ যোগ হওয়ায় লাভের অঙ্ক অনেকটাই কমে গেছে।
কয়েক বছর আগেও পতিরাম এলাকার কারিগরেরা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কুইন্টাল বাতাসা তৈরি করতেন। এখন মাত্র দশ থেকে বারো পনেরো কুইন্টাল বাতাসা তৈরি করতেই তাঁরা ঝুঁকি দেখছেন। তাই তাঁদের একটাই আশা—পুজোর বাজারে ভালো বিক্রি হবে। এখন দেখার বিষয়, বোল্লা মায়ের আশীর্বাদে তাঁদের লাভের মুখ দেখা যায় কিনা।