এভারেস্ট জয়ী প্রথম অসামরিক বাঙালি বাঁকুড়ার শুশুনিয়াতে।

0
9

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- এভারেস্ট জয়ী প্রথম অসামরিক বাঙালি বাঁকুড়ার শুশুনিয়াতে। হিমালয়ের পর্বতে-পর্বতে, পাথরে-পাথরে অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন দেবাশিস বিশ্বাস। ১৯৯৭-এ তাঁর প্রথম শৃঙ্গ জয়, মাউন্ট কামেট। তারপর চৌখাম্বা-১, নন্দাকোট, শিবা, শিবলিং, পানওয়ালিদুয়ার, রুবালকাং শৃঙ্গ জয়। ১৭ মে ২০১০ বসন্ত সিংহ রায় আর দেবাশিস প্রথম অসামরিক বাঙালি হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে আরোহণ করেন। এরপর ২০ মে ২০১১ অসামরিক ভারতীয় হিসেবে জয় করেছেন ২৮১৬৯ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা। দেবাশীষ বিশ্বাস এলেন বাঁকুড়াতে। বাঁকুড়ার শুশুনিয়ায়। চারদিনের রক ক্লাইম্বিং কোর্সে একদম এক্সপার্ট ট্রেনিং দিতে তিনি হাজির হন শুশুনিয়াতে।

চারটি রক্লাইম্বিং কোর্স রয়েছে। শুশুনিয়া, গোজাবুড়ু, বেরো এবং জয়চন্ডী। তার মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট হল শুশুনিয়া। সরকারের ইউথ সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট থেকে এই কোর্সগুলি করানো হয়। দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, “রক ক্লাইম্বিং এর জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছু রয়েছে শুশুনিয়াতে। একদম আদর্শ একটি জায়গা।” পাথরের ভূপ্রকৃতি চেনা, ফাটল ধরে কিভাবে উঠতে হয় এবং কিভাবে নামতে হয় সঙ্গে রক ক্লাইম্বিং সম্বন্ধে ক্লাস এবং পরীক্ষা নেওয়া হয় এই কোর্সে। মোট ৩৫ জন “ক্লাইম্বার” শুশুনিয়াতে কোর্স করলেন।

শুধুমাত্র পাহাড়ে ওঠাই নয়। পাহাড়ে চড়া ছাড়াও রয়েছে পরিবেশ সম্বন্ধে সচেতনতা। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন না হলে, হতে পারে বিবিধ সমস্যা। যারা পাহাড়ে উঠছেন, প্রচন্ড দৈহিক পরিশ্রম প্রয়োজন তাঁদের। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে চড়াই করে উপরে ওঠা খুবই কঠিন একটি কাজ। ফলে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মবোধ হওয়াটা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছেন দেবাশীষ বিশ্বাস। সেই কারণে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতাও এই সকল কোর্সের একটি অঙ্গ। এভাবেই বছরের পর বছর রাজ্যের পর্বত আরোহনে একটি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে শুশুনিয়া পাহাড় মদত জুগিয়ে যাচ্ছে।