পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে সিপিএমের প্রধানের স্বামী এবং শাসক দলের বিরোধী দলনেত্রীর স্বামীকে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠল এলাকারই কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

0
19

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—আবাসের তালিকায় কেন যোগ্যদের নাম কাটা গিয়েছে এই কথা জানতে গিয়ে,পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে সিপিএমের প্রধানের স্বামী এবং শাসক দলের বিরোধী দলনেত্রীর স্বামীকে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠল এলাকারই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় পঞ্চায়েত দপ্তরের মধ্যেই দুই পক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা দুই পক্ষের গন্ডগোল নিয়ন্ত্রণ করে আহতদেরকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন দুপুরে তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে প্রধানের স্বামী দিলরোজ এর কাছে যান তুলসিহাটা নয়া টোলার বাসিন্দা মহম্মদ সালাম,সেখ তালিম, মঞ্জুর আলি, মহম্মদ কালাম ও মেরাজ আলি। অভিযোগ,সালাম জানতে চান ভাই মঞ্জুর আলি সহ একাধিক ব্যক্তির নাম কেন কাটা হয়েছে। এরপরই তারা প্রধানের স্বামী এবং সেখানে উপস্থিত পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেত্রী মহবুবা খাতুনের স্বামী আব্বাস আলীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রধানের স্বামী দিলরোজ ও তৃনমূল নেতা আব্বাস আলীকে সালামের দলবল বেধড়ক মারধর করে। যদিও অভিযুক্ত সালাম ও তালিমের পাল্টা অভিযোগ তারা মারধর করেনি উল্টে প্রধানের স্বামী এবং আব্বাস আলী তাদেরকে আক্রমণ করেছে। তৃণমূল নেতা আব্বাস কাট মানি দাবি করছিল টাকা দিনই বলেই নামগুলো
ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়েছে। অপরদিকে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা আব্বাস বলেন, সার্ভে করেছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদের তালিকায় নাম এসেছে। অযোগ্যদের নাম বাদ গিয়েছে। নাম বাদ যাওয়ায় প্রধান ও আমাকে দোষারোপ করছে অভিযুক্তরা।