পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয় শিশু ও প্রসুতিদের। তবে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে মাঝে মধ্যেই। অনেক সময় খাবারের মধ্যে টিকটিকি, আরশোলা, মশা মাছি মতোর কীটপতঙ্গ মেলে। এছাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনাও দেখা গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। তাই কেন্দ্রে রান্না করার বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেয়া হচ্ছে কিনা এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে অঙ্গনারী কেন্দ্রগুলিতে খাওয়ার রান্না করা হচ্ছে কিনা নজরদারি চালায় খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। এর পরেই মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে শুরু হয় প্রশিক্ষণ পর্ব। এদিন জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে সুপার ভাইজার এবং শিশু বিকাশ উন্নয়ন প্রকল্পের আধিকারিকদের নিয়ে চলে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
অঙ্গনওয়াড়ি বিভাগের সুপারভাইজার এবং শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিকদের সচেতনতার পাঠ দিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। প্যাকেটজাত মসলা ব্যবহার করতে ও কাঁচা ডিম কিভাবে মজুদ করতে হবে এবং কতটা নুন তেল মসলা দিয়ে রান্না করতে হবে সেই সমস্ত বিষয়গুলি আলোচনা করা হয় এই দিনের শিবিরে।
এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে আগামী দিনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার রান্না ও গুণগতমান ঠিক করে শিশু এবং প্রসূতি দের দেওয়াই মূল লক্ষ্য এমনটাই জানান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না।
বাজার থেকে আনা মসলা, ডিম কিভাবে রাখতে হবে এবং কিভাবে ভালো করে রান্না করতে হবে পুরো বিষয়টি এদিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিখতে পেরেছেন এমনটাই জানান প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক সুপারভাইজার বিদিশা মন্ডল।