নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মার্ডার কেসের ভুল মামলায় জড়িয়ে সাড়ে আট বছর থেকে বাড়ি থেকে দূর থাকার পর অবশেষে বাড়ি ফিরলেন এক ব্যক্তি। জানা গেছে ওই ব্যক্তির নাম বীরেন রায় বয়স ৫৬ বাড়ি বামন গোলা ব্লকের পাকুয়াহাট অঞ্চলের তিতপুর বাগানপাড়া এলাকায়। পরিবার রয়েছে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে গত ২০১৬ সালে কানপুরের দেউলিয়ায় রাজমিস্ত্রির কাজে যান বীরেন বাবু তবে সেখানে গিয়ে ভুল মামলাই তাকে জড়িয়ে দেওয়া হয় এবং তিনি জেলে ছিলেন। সাড়ে আট বছর বাড়ি থেকে দূর থাকতে হয় তাকে। তাঁর বক্তব্য তাকে ৩০২ মামলায় মার্ডার কেসের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পারিবারিক আর্থিক অনটনের কারণে তিনি কোন আইনজীবী কোর্টে প্রেয়ার দিতে পারিনি। এদিকে বাড়ির লোক খোঁজ শুরু করলে তারা জানতে পারেন বীরেন রায় মার্ডার কেসের মামলায় তাকে জড়িয়ে জেলে রয়েছেন। এই ঘটনার খবর পান স্থানীয় স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য তারাশঙ্কর রায় তিনি উত্তর মালদা সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্তর হাত ধরে সেখানে গিয়ে কোর্টে প্রেয়ার দাখিল করেন। টানা ১০ মাস ধরে আইনি জটিলতা দূরের পর রেহাই পান বীরেন রায়। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক দশটা নাগাদ বীরেন রায় কে নিয়ে তারাশঙ্কর নামেন পুরাতন মালদার কোর্ট স্টেশনে। বীরেন বাবুকে পেয়ে কান্নায় ভেসে পড়েন তার পরিবার বরগরা। এছাড়াও তাকে অভিনন্দন জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির উত্তর মালদা কেন্দ্রের সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত এবং বিজেপির নগর মন্ডলের সভাপতি সুজিত দাস সহ বিজেপির কার্যকর্তারা। বীরেন রায় কে মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানান সকলে।
বীরেন বাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি গত সাড়ে আট বছর আগে রাজমিস্ত্রির কাজে যায় কিন্তু সেখানে আমাকে ভুল মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয় আমি আজ ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসেছি আমি খুব খুশি।
বীরেন বাবুর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারাও বলেন আমার বাবাকে পেয়ে আমি খুব খুশি।
এ বিষয়ে বিজেপির উত্তর মালদা কেন্দ্রের সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বাংলায় কাজের অবস্থা ভালো নেই তাই সেই ব্যক্তি সেখানে কাজে যায় এবং তাকে ভুল কেস দিয়ে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ আমরা খবর পেয়ে সেখানে দলীয়ভাবে সেখানকার বিজেপি নেতৃত্ব কে চিঠি করি। চিঠি করার পর সেখানে আমাদের আইনজীবী সেই মামলার কোর্টে প্রেয়ার করা হয়। প্রেয়ার করার পর সেখানে প্রমাণ হয় যে তিনি কোন মার্ডার করেননি তাকে ভুল ভাবে জড়ানো হয়েছে। তারপর তিনি ছাড়া পান আজকে বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। আমরা পাশে ছিলাম।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য তারাশঙ্কর রায় কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন তার পরিবার তাকে ফিরে পেয়েছে আমাদের দল সকল ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে। তবে আজ বাড়ি ফিরেছেন আজকে তার পরিবারকে পেয়ে আনন্দিত।