দৌড়ে ব্রিজের ওপর থেকে ফুলাহার নদীতে ঝাঁপ মারে, তখনই প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক যার নাম লিটন মিয়া যুবতীকে প্রাণে বাঁচাতে তিনিও ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাপ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—মালদার মানিকচকের ভূতনী ব্রীজ থেকে ফুলহর নদীতে মরণ ঝাঁ*প দিল এক তরুণী। আর এই দৃশ্য দেখে তার প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁ*প দিল ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক। তার তৎপরতাতেই প্রাণে রক্ষা পেল ওই তরুণী। তবে নদীতে মরণ ঝাঁ*প দেওয়ায় সে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের পরপরই চিকিৎসার জন্য মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর নাম জয়ন্তী মন্ডল। বাড়ি মানিকচকের ধরমপুর অঞ্চলের বড়োবাগান এলাকায়। এদিন বিকালের দিকে সে মানিকচকের ভূতনী ব্রীজে দাঁড়িয়ে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল। কথা বলতে বলতেই হঠাৎ করেই এক দৌড়ে ব্রীজ থেকে নদীতে ঝাঁ*প দিয়ে বসে। ঝাঁপ দেওয়ার পর সে বাঁচার চেষ্টা চালায়। যা দেখে স্থানীয় এক যুবক ব্রীজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসে। আর এই খবর চাউর হতেই ভূতনী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় বহু মানুষের ভিড় জমে যায়। জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয় এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,ওই যুবতী অপরিচিত এক নাবালকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে কারো সাথে ফোনে কথা বলেন। এরপর দৌড়ে ব্রিজের ওপর থেকে ফুলাহার নদীতে ঝাঁপ মারে।তখনই প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক যার নাম লিটন মিয়া যুবতীকে প্রাণে বাঁচাতে তিনিও ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাপ দেন। অজ্ঞান অবস্থায় নদী থেকে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *