কবিতার জন্ম : ডঃ অশোকা রায়।

0
528

শহরের একাকীত্বে হেঁটে চলে জীবন।
দু পকেটে দুহাতে দুমুঠো হলুদ মন ।
আবেগের রঙ নেই কলমের নিবে।
কবিতা আসে না স্বচ্ছ বাসে।
চোখ ঢাকা টুপিতে ভাষা হীন বিষণ্ণ দুটি চোখ।
তারার টেমপ্লেটে ছেঁড়া ছেঁড়া স্বপ্ন।
ঘোড়ায় চড়া হিমেল হাওয়ার যাওয়া আসা।
কানে অসংলগ্ন কথা।
রাত চিরে চিলের ডানার ঝটপট।
ল্যাম্পপোস্টের হলদেটে আলোর তলে ডাস্টবিনে কোঁকড়ানো কাগজের স্তূপ।
ছেঁড়া আবেগ, ব্যর্থ আবেদন।
আসে না কবিতা অন্য অনেক দিনের মতো।
রাতের সারমেয়ের মসৃণ পায়ে লোলুপ বিনোদন।
চিৎকারে রাতের আকাশ খান খান।
চারপাশে বিছোনো ছদ্মবেশী মায়ার চাদর।
হাহাকার আমার সব ছেড়ে শুধু কবিতার জন্য।
লম্বা পায়ে শুধু কবিতার জন্য আমার দিশেহারা হেঁটে যাওয়া।
ছড়ির ঠকঠকানিতে শব্দহীন ব্যাথার ধাতুরূপ।
হলদে বাড়িটার ঝুল বারান্দার চাপচাপ অন্ধকারে ঝোলে কিছু ছন্দ।
চটপট আমার দু পাশে তিন ছায়া,
শব্দ ছন্দ বন্ধ।
বোতামহীন দিগন্তে উঁকি মারে শিরশিরে ভোর।
পার্কের বেঞ্চে সবুজ ঘাসে শিশিরে পা ডুবিয়ে কথা হয় আবেগের সাথে।
এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চায়ের ভাঁড়ে কবিতার ছায়া।
ফিসফিস করে, পথ চলাতে আমার জন্ম।