কুঁজোর জলটা ক্রমশ কমছে একটু একটু করে …
তেষ্টায় আছে সকলে…
জলের আধার একটাই–
ঢালতে ঢালতে নামছে জলের তল…
জলাধার প্রায় খালি…
তারপর তলানিতে
আরও কাত করে আবার কিছুটা তেষ্টা মেটানো গেলো,
এবার বিন্দু বিন্দু… নিঃশেষ হলো অভ্যন্তরে গচ্ছিত এক জীবন…
ফাঁকা হয়ে গেছে কূঁজো
এবার একটু আওয়াজ– উঠবে সুনিশ্চিত
ঔদ্ধত্য! বলতেই পারো,
অনুপলব্ধ শূন্যতাগুলো ভরার তো কেউ ছিলো না…
ফাঁকা কলসীর গহ্বর জুড়ে সশব্দ সংঘাত–
আজ লাগতেই পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা,
লাগতেই পারে অপরাধ অথবা অক্ষমতা
ভালোবাসা বুঝি কেবলই পাতবে হাত?
উপুড় হবে না প্রসারিত দুই তালু?
প্রয়োজন ঘিরে সঞ্চয়ী গাঁটগুলো আঙুলে বেঁধেছে পার্থিব সংযম!
এখনও কি আর প্রশ্ন করাটা সমীচীন?
ও নিঃশেষ কেন হলো?
জলের তলটা কমতে দেখেছে চোখ
দু’হাত আসেনি এগিয়ে ভরতে যতটুকু খালি হলো,
এখনও কি আর আক্ষেপ করা চলে?
বাকী চাহিদাটা মেটানোর আগে
অবসর কেন নিলো?
হাতগুলো শুধু বিস্তৃত হয় আকাশের দিকে তাকিয়ে,
নীলখামে মোড়া প্রত্যাশাগুলো পূরণেই মুঠো বন্ধ
তহবিলে জমে আমদানিদের হিসাব
উপুড় হয়না নিদ্রিত করতল…