ক্রিসমাস ট্রি-র ইতিহাস।

ক্রিসমাস ট্রি প্রথম জার্মানিতে দেখা যায়। অষ্টাদশ শত থেকে প্রায় গোটা বিশ্বেই ক্রিসমাস ট্রি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে যিশু খৃস্টের জন্মের সঙ্গেও ক্রিসমাস ট্রি যুক্ত আছে। যিশুর জন্মের পরে যাঁরা তাঁর বাবা-মা জোসেফ ও মেরিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তাঁরা নিজেদের বাড়ির এই চিরসবুজ ফার গাছ আলো দিয়ে সাজিয়ে দেন। সেই থেকই এই প্রথা চলছে। এমনটাও মনে করা হয়।ক্রিসমাস ! এই নামটা বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে আলোর রোশনাই। আর ক্রিসমাস ট্রি ! বড়দিন। মানেই কেক কেটে ঘরে ঘরে যিশুর জন্মদিন পালন। এই উৎসব আর শুধু খ্রিস্টানদের নয়। সব ধর্মের মানুষই এই উৎসবে গা ভাসায়। কলকাতার পার্কস্ট্রিট এই সময় সেজে ওঠে একেবারে পাশ্চাত্য রঙে। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পাড়ায় শুরু হয়ে যায় সাতদিন ধরে উৎসবের আয়োজন। কিন্তু এই উৎসবে ক্রিসমাস ট্রি কেন সাজানো হয় জানেন কী ! হাজার হাজার বছর আগে উত্তর ইওরোপে ক্রিসমাস ট্রি-র প্রথা শুরু হয়। এই ফার গাছকে সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। উত্তর ইওরোপের মানুষ বিশ্বাস করতেন, বাড়িতে চিরসবুজ এই ফার গাছ লাগালে অশুভ শক্তি দূরে সরে যায়। সেখান থেকেই বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর প্রথা শুরু হয়।

।।সংগৃহীত।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *