রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ফুটবল খেলে মাঠ মাতিয়ে দিলেন সুন্দরবনের মহিলারা।

0
818

ক্যানিং, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রবাদে প্রচলিত রয়েছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।কেউবা পা দিয়েছেন ত্রিশের কোঠায় আবার কেউ  বয়স সত্তরের দোরগোড়ায়।এঁরা সকলেই প্রত্যন্ত সুন্দরবনের অজপাড়া গাঁয়ের কুলবধূ।কুলবধুরা এতোদিনে সংসার সামলে সুন্দরবন রক্ষা করতে ম্যানগ্রোভের চারা রোপণ করতেন।এমনকি নদীবাঁধে মাটি দিয়ে বন্যার হাত থেকে গ্রামকে বাঁচিয়েছেন।কিন্তু তাঁরা এই কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে রাজী নন।আর সেই কারণে আজ তাঁরা আরও এগিয়ে যেতে চায়। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা বর্তমানের আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।সিদ্ধান্ত নিলেন ইংরাজী নববর্ষে তাঁরা একত্রিত হয়ে ফুটবল খেলবেন।যেমন বলা তেমন কাজ।শনিবার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালী অঞ্চলের প্রজাঘেরী গ্রামের মহিলারা সংসারের দায়িত্ব পালন করে মেতে উঠলেন বাঙালীর সেরা ফুটবল খেলা নিয়ে। দিল্লির এক সেচ্ছাসেবী সংস্থা গুঞ্জ এই খেলায় তাঁদের উৎসাহ দিয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যে সমস্ত মহিলারা কখনও কোনদিনও কোন খেলায় অংশগ্রহণ করেনি,তেমনই ঘরের গৃহ বধূদের উৎসাহিত করতে এদিন ফুটবল খেলার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন খেলা ধুলো আয়োজন করা হয়। মহিলাদের হাডুডু ও মহিলাদের জন্য কাছি টানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় সংস্থার তরফ থেকে।এদিন খেলার সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন ঝড়খালী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গুরুদাসী মণ্ডল, উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল, গুঞ্জ সংস্থার সদস্য প্রশান্ত সরকার, সমাজ সেবক ধনঞ্জয় মণ্ডল, আকুল বিশ্বাস, সন্তোষ গায়েন, অপুর্ব রায়, মধু সূদন মণ্ডল সহ গ্রামের বিশিষ্টরা।মহিলাদের এমন খেলা দেখতে ভীড় জমিয়েছিলেন গ্রামের অন্যান্য কুলবধু সহ এলাকার অসংখ্য সাধারণ মানুষ। প্রত্যন্ত সুন্দরবন সহ রাজ্যে এমন খেলা এই প্রথম বলে গ্রামবাসীদের দাবী।সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকরা ভীষণ আনন্দ পেয়েছেন মহিলাদের বিভিন্ন খেলা দেখে।অন্যদিকে খেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরস্বতী, গীতা, চন্দনা, সুমিত্রা, নমিতাদের মতন ৮০ জন কুলবধূ। খেলা শেষে এদিন রাতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুঞ্জ এর তরফ থেকে মিলেছে সকলের জন্য আকর্ষনীয় পুরস্কার।