কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া।

0
519

নিজস্ব সংবাদদাতা,ক্যানিং –বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। ঘটনাটি ঘটেছে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বসিরহাট ফরেস্ট রেঞ্জের বুড়ির ডাবরি বিটের ঝিলা ৬ নম্বর নদীখাঁড়ি সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায়। বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হেমনগর কোস্টাল থানার কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিনস্ত দক্ষিণ কালীতলা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর বাউলে (৩১)।রবিবার দুপুরে দুই সঙ্গী মনোরঞ্জন মন্ডল ও শত্রুঘ্ন মন্ডল সহ তিন জন মৎস্যজীবী নৌকায় করে সুন্দরবনের কোর এলাকায় কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে এদিন ভোর রাতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের গহীন অরণ্যে ওই তিনজন ঝিলা জঙ্গলের তিন দিকে বিভক্ত হয়ে যায়। সেই সময় নদীতে ভাটা চলছি।জাহাঙ্গীর সেখানে কাঁকড়া ধরার জন্য দোন পাতছিল। হঠাৎই অন্যান্য সঙ্গীরা জাহাঙ্গীরের চিৎকার ও বাঘের গম্ভীর গর্জন শুনতে পায়। তখনই তাদের সন্দেহ হয়। অবশেষে তার সঙ্গীরা যখন জাহাঙ্গীর কে খুঁজে পায় ততক্ষণে বাঘ তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তারপর সঙ্গীরা তার দেহ উদ্ধার করার প্রাণপন চেষ্টা করে। বিফলে যায় চেষ্টা। বাঘ তার শিকার কে টানতে টানতে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়।নিরুপায় হয়ে সঙ্গীসাথীরা বসিরহাট ফরেস্ট রেঞ্জার বনদপ্তরের আধিকারিকদের খবর দেয়। বনদপ্তর ও হেমনগর থানার পুলিশের একটি দল ওই দুই মৎস্যজীবী সহ জাহাঙ্গীরের মৃতদেহ নিয়ে আসতে রওনা হয়েছে ঘটনাস্থলে।
উল্লেখ্য একের পর এক বাঘের হানা লেগেই ছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এবার একে বারেই বাঘের ডেরায় গিয়ে রয়‍্যাল বেঙ্গলের মুখে পড়লো ওই মৎস্যজীবী। বারে বারে বনদপ্তরের একাধিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে মৎস্যজীবীরা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ও নিয়মের তোয়াক্কা না করে সুন্দরবনের কোর এলাকায় ঢুকে যাচ্ছে, যার জেরেই ঘটছে এমন ধরনের দুর্ঘটনা। এমনটাই মনে করছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা।