সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী সরস্বতী পুজো।বর্তমানে করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউ চলছে। স্কুল কলেজের পঠন পাঠন বন্ধ। প্রতিমা তৈরীতেও অন্যান্য বছরের ন্যায় বরাত নেই। আর সেই কারণে মৃৎ শিল্পীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।বছরের এই সময় মৃৎ শিল্পীরা সরস্বতী প্রতিমা তৈরীর জন্য প্রচুর সংখ্যক বরাত পেতেন।রাত দিন ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম করতে হতো তাদের।সরস্বতী পুজো বিশাল জাঁকজমক ভাবেই অনুষ্ঠিত হতো।বর্তমানে করোনা মহামারীর তান্ডবে সেই চিত্র প্রায় বিলীন হতে বসেছে।
বিগত দিনে করোনা মহামারী শিথিল হতেই শুরু হয়েছিল স্কুল কলেজের পঠন পাঠন। বর্তমানে তৃতীয় ঢেউয়ের দাপটে সে সমস্ত বন্ধ।ফলে জাঁকজমক দূরঃঅস্ত,পূজো হবে কি না তাতে করে রয়েছে ব্যাপক সন্দেহ। ফলে অনেক ক্ষেত্রে পুজো হলে তা একপ্রকার নমো নমো করে সারতে হবে।
ফলে এই মুহূর্তে চরম ভাবে সংকটে এবং চিন্তায় রয়েছেন মৃৎশিল্পীরা।শেষ মুহূর্তে বরাত পাওয়া যেতে পারে ভেবেই এক বুক আশা-ভরসা নিয়ে অসংখ্য সরস্বতী প্রতিমা গড়ছেন মৃৎশিল্পীরা।ক্যানিংয়ের মৃৎশিল্পী নিতাই সুতার জানিয়েছেন ‘বিগত দিনে সরস্বতী প্রতিমা তৈরীর জন্য ২৫০-৩০০ টি বরাত পেতাম।কলকাতায় ও প্রতিমা সাপ্লাই দিতাম।বর্তমানে একটিও বরাত আসেনি। কয়েকদিন পরেই বিদ্যাদেবীর আবির্ভাব হবে।হয়তো হবে পূজো। কি হবে?সেই চিন্তায় রয়েছি।আমাদের এমন সংকটকালে রাজ্য সরকার মৃৎশিল্পীদের পাশে দাঁড়ালে ভালো হয়। না হলে মৃৎশিল্পীর সাথে যুক্ত পরিবার গুলোর ভবিষ্যত জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে।’