বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটি ঘোষনার পর গোপীবল্লভপুরে বন্ধ করে দেওয়া হল দলীয় কার্যালয়,ভাঙ্গনের মুখে বিজেপি।

0
293

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম:- বিজেপি রাজ্য কমিটিতে যেমন বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে, তেমনি ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটি গঠনের পর বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে ঝাড়্গ্রাম জেলা জুড়ে। বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির পাদাধিকারী দের নাম ঘোষণা করে বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো। দলের জেলা কমিটির পদাধিকারী দের নাম ঘোষণার পর ঝাড়্গ্রাম জেলা জুড়ে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিজেপির অন্দরে। এমনকি ঝাড়গ্রাম জেলা কার্যালয়ে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায় সভাপতি কে ঘিরে। বুধবার রাত থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় গোপীবল্লভপুর থানার ফানিয়ামারা এলাকায় থাকা ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপির গোপীবল্লভপুর এক মন্ডল কমিটির কার্যালয়। সেই সঙ্গে দলীয় পতাকা, ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়েছে। বিজেপির গোপীবল্লভপুর এক মন্ডল কমিটির সভাপতি সমরাই মুর্মু বলেন বুধবার রাত থেকে দলীয় পতাকা, ফেস্টুন সরানো হয়েছে দলীয় কার্যালয় থেকে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দলীয় কার্যালয়।দলের যে জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা একতরফা করা হয়েছে। যার ফলে পার্টিকে আরো দুর্বল করবে। বিভিন্ন মোর্চার কমিটির সদস্যরা ওই কমিটি মেনে নিতে পারেনি তারা সন্তুষ্ট হয়েছে। ঝাড়্গ্রাম জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়েছে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ। সেইসঙ্গে বাদ পড়েছে একাধিক নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির জেলা সভাপতিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছেন বিজেপির কর্মীরা।যে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে তাকে তুফান মাহাতোর বিয়ের ক্যাটারিংয়ের টিম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। বিজেপির গোপীবল্লভপুর এক মন্ডল কমিটির সভাপতি বলেন জেলা কমিটি গঠনের আগে সবদিক বিবেচনা করা উচিত ছিল। যারা কাজের মানুষ তাদেরকে জেলা কমিটিতে রাখা হয়নি। যারা কাজের নেই অথবা যাদেরকে চিনি না তাদেরকে জেলা কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। যা দলের সংবিধান বিরোধী বলে তিনি মন্তব্য করেন।যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে বিজেপির ভাঙ্গনের মুখে বলে বিজেপির এক শ্রেণীর নেতা ও কর্মীরা মনে করেন। বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি তুফান মাহাতো বলেন অনেকের মান-অভিমান হবে। সমস্ত দিক বিবেচনা করে নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের দলের গঠনতন্ত্র মেনে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আরও উপরের কোন কমিটিতে থাকবেন। এছাড়াও দলের অন্যান্য পদ ও রয়েছে। যেহেতু আমি দলের জেলা সভাপতি তাই আমার কাছে ছাড়া কার কাছে দলের কর্মীরা আবদার করবে। তিনি বলেন দলে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকতে পারে সব পরে ঠিক হয়ে যাবে।