বীজগাণিতিক ঘোড়া ও বাবা নদের টেস্টোস্টেরন : নিমাই জানা।।

0
265

বাঁশির ছিদ্রগুলো সঙ্গমে মেতে ওঠার আগেই উত্তরায়ন পর্বের উভয়াবতল সন্ন্যাসীরা , সম্প্রদান শব্দের কান্না জুড়ে দিয়েছেন ভাগবত পৃষ্ঠার বামদিকে

আমি বিষধর , প্রতিটি অঙ্গানু ভেঙ্গে রক্ত চন্দনের চারাগাছ পুঁতে চলেছি অনুর্বর পাথরের উপর , বল্কলহীন পুরুষদের আবারো একবার বৈশ্বানর মন্ত্র শিখিয়ে ঈশ্বর অবিকৃত থেকে যাবেন সুমেরু দীপ্যমান মহালোকে বসে , সকলের তলপেটে থাকা ডিম্বাণুর একাইনোডার্মাটা দেহাবশেষ গুলো আরো ডিমের খোলস ভেঙে দিতেই কলাবতী নারীর অর্গাজম দেখা দিল , আমরা সকলেই পুলস্ত হয়ে গেলাম
আমি এক পাথর পুরোহিতের অবিকৃত শরীরটিকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি গোপন অন্ধকার কতবার প্রাচীন মহাকালের দরজাকে অশৌচ করে গেছে পঞ্চম দিনের স্খলিত নারীদের মতো, ভগীরথকে আহ্বান করছেন অংশুমান

প্রতিটি জনন ছিদ্রের দোরগোড়ায় ঈশ্বর বসে আছেন নিরালম্ব পিরামিড হয়ে ,যাদের নরম দাঁতের কাছে মৃত্যু সংক্রান্ত অযোগবাহের অভয়নগর এসে জড়িয়ে ধরেছিল কাঠের আসবাবকে , তাদের শরীরের জরায়ুজ চাঁদঘরে পুঁতে দিয়েছি অংকুর ধানবীজের শিকড় ,ক্রৌঞ্চদ্বীপের পুরোহিতেরা আদিগন্ত নিরাকার সাপেদের জন্ম দেয় , আমি বীর্যপাতের সাথে কিছু জিনসেং ও বনচন্ডালের শেকড় ও অশ্বগন্ধার ফল একসাথে মিশিয়ে খাইয়ে দিচ্ছি অক্ষম পুরুষটিকে ,

পুরুষেরা শববাহকের নিচে থাকা আঁধারের ঘোড়া হয়ে যাচ্ছে আর কঙ্কাল ফেলে ফেলে হেঁটে যাচ্ছে ওই উলম্ব গ্রাফিক্যাল রিপ্রেজেন্টেশনের দিকে , আমি কোন হিমোগ্লোবিন থেকে ঝরে পড়া একটি অন্ডকোষের গ্রস্ত উপত্যকা , বিভাজিকা আর মূলদ সংখ্যার পরকীয়া গুলো নির্ণয় করছে একটি বাকলহীন আম গাছের তলায় দাঁড়িয়ে আমি মৃতপ্রায় অসুখের নামে সব কবিতা উৎসর্গ করে দিয়েছি , তন্ময়ের অংকুর চিহ্নে জাহাজটি খনিজ খুঁজছে ধারালো লোহার অস্ত্র দিয়ে
শান্তনু ঈশ্বর ভূর্জপত্র আমার নাকে মুখে গুঁজে দিয়েছেন মরচে প্রলয়কালের শেষে , আমার তৃতীয় পক্ষের প্রণয় যোগ ছিল

একসাথে কুন্তী মায়ের মতো সকলেই ধর্মক্ষেত্রে মামেকং বলেই কান্না জুড়ে দিল তীক্ষ্ণ সময়ের জন্য , যাদের মুখগুলো নতজানু পুরুষের স্তনবৃন্তের দিকে ঝুলে থাকে কাগজ ফুলের মতো, তারা সকলেই অবিচ্ছিন্ন ঘুমিয়ে কাতর , কলয়েডীয় বিশাখা দ্রবণে আমারই মতো কেউ স্ফটিক স্তম্ভে ফেলে দিচ্ছে সাবর্ণ রেতঃ , শৌণক বসে মহেশ্বরের স্তব করবেন , রম্ভা নাচবেন অর্ধগোলক পৃথিবীর উপর
আমাদের তখন জন্মনিয়ন্ত্রণের দরকার পড়বে , আমি নিজের নাভি ছিঁড়ে খাওয়ার আগেই বেরিয়ে পড়বে কোন উলম্ব সাদা রঙের কালপুরুষ, আমি তার শংকর মূর্তি দেখে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে দেখবো পর্ব সপ্তঋষির নিচের শরীর

ঘাম বিন্দুগুলো লালা ঝরিয়ে নিভে যাবে শুকতারার স্বাদ নিয়ে আমি দাহক্ষেত্র ভালবাসি বারবার করবী ফুলের মতো , দেয়ালে বাবার মতো কোনো সরীসৃপ ছটফট করছে ঘুমহীন বিছানার মত ময়ূরী একাই অবাক লাগছে রাধাচূড়ার কেন্দ্রমন্ডলের আমার কোন ভৌগলিক বিষয়ক চোখের উপপল্লব জানা নেই আমি শুধু ইছামতীর বিনীত ধান ঘরে কাছের বাসি টির সঙ্গম করার দেখেছি নিরাময় বস্ত্রালয়ের নিচে দাঁড়িয়ে সব গণিতের প্রশাখা থাকতে নেই

আমি দীর্ঘ মহাজাগতিক থেকে উড়ে আসা কাল্পনিক ঈশ্বরের পা দেখতে পাই না , আমি কোন ছায়া দেখার আগে আরও গভীর জলের নিচে চলে যাই
আমার ভয় হয় শুক্রগ্রহ ছুঁতে, আমার শীঘ্রপতন দোষ ছিল বলেই সব কংক্রিট মেশানো অ্যালকোহল একসাথে খেয়েছি গৌরিচৌরি মিশিয়ে ,
বাবা কতবার ঘুমের ভেতর ভৈরব পাগল হয়ে উঠেছে আর আমি হৃদস্পন্দন শুনে জিভে দিয়েছি একটু ঠান্ডা গঙ্গার জল, সকলেই পরজীবী নিয়ে অশ্বত্থগাছ , শ্যাওলার দেওয়াল বেয়ে উঠে রেখে আসি উলঙ্গ অন্তর্বাস আর কিছু জ্যামিতিক হাড় , নীল গোলাপের জ্বরের ওষুধ নেই

আমি মৃত পুংকেশর তলপেটে রাখি মধ্যরাতের ব্রণদাগ , রঙ্গন ফুলের ঠোঁট ছুঁয়ে নেমে গেছে জলজ নাভিমূল , আমার গায়ে থাকা ছিন্ন গরম তৈজস ঢাকনাটি লিলিয়াম পাগলের মতো দেখায় , মিটজিপামাইন একটি কামিনী ফুলের নাম
আমি সারাদিন বৃষ্টিতে ভেজার পর আলগা করি দ্বিপত্র কপাটিকা, ঈশ্বর আমার পাশেই একসাথে বেল পাতা চিবিয়ে খাবেন আর আমার নাভি বিন্দুতে রেখে যাবেন তিল কলাইয়ের সবুজ ঘাট , রাতের পর প্রতিটি পুরুষ আরেকবার স্ত্রীলিঙ্গ হয়ে যায় আলপথের নিচে গোপন কুঠুরি থেকে বেরিয়ে , কালো আঙ্গুরের থোকাটি ক্রমশ সাপ হয়ে ওঠে পরকীয়ার ডান পায়ে জড়িয়ে ,
আমার মাথার কাছে একটি জ্বলন্ত কুন্ডলি থেকে বেরিয়ে আসছেন বৈষ্ণব , একবার কর্মযোগের প্রয়োজন ছিল ডানাভাঙ্গা দারুচিনি ডগায়,এখানে কেউ আত্মহত্যা করেছিল মধ্যযুগের অস্ত্র হাতে নিয়ে

রিফাম্পিসিন ইস্ট্রোজেনের মায়োসিস নারীটি আমাকে হিলিয়াম খেতে বলে দেবদারু পাতার নিচে দাঁড়িয়ে, আমি শুধু নিরালম্ব ইছামতি নারীটির কানে ঝুলে থাকা প্রবাল আর সিগময়েড বিভাজিকা দেখি সারাৎসার সংসারে নেমে , সবাই মৃত মানুষের মতো নৌকা চালিয়ে ক্রমে লজ্জাবতীর ফুলের ভেতর ঢুকে যায় ,১০৮ টি অপরাজিতার মৃত ঘোড়াটি কতোবার মৌলিক পরাগ রেখে গেছে আমার জীবিত স্থানাঙ্কের উপর
আমার সন্তান একটি সন্ন্যাসের তৃতীয় নেত্রে ম্যানিটল চারাগাছ পুঁতে দিয়েছে প্লাস্টিক অ্যানিমিয়া লোহিত কণা দিয়ে , আমি জমাট রক্তকে ভয় পাই যান্ত্রিক মানুষটির মতো
প্রতিটি প্রহরে নৌকো চালানোর নাম করে গভীর জলাশয় স্নান সেরে পর্ণমোচী হয়ে উঠব জ্যোৎস্না ভাঙ্গা আয়নার কাছে

তিনটি মানুষের কান্না কোনদিন শোনা যায় না , পরমাত্মা , বাবা ও পরিযায়ী গুহা মানুষটির ,
সকলের ঠোঁটে ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়াটি উড়ে যাচ্ছে প্রাচীন রুপান্তর ক্ষেত্রের দিকে , আমার জিভে পাণ্ডুরোগ আছে