পিরামিডের শরীরে উচ্চপ্রদাহ জনিত পিরাসিটাম জ্বরের মায়াময় চৈতন্যের ঘোর আছে বলেই আমরা আগুনের ত্রিপাদ দোষ নিয়ে নেমে যাব নাইটেঙ্গেল পাখিটির অতলান্ত ফ্যালোপিয়ানের দিকে
ঈশ্বরের শান্তির ঘুম (ওম ) বিঘ্নিত করে বের করে আনব হত্যা রঙের ধাতব ছুরিটিকে , তুতেনখামেন পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে আমাদের মৃত্যুর পরবর্তী নিউমোনিয়া আক্রান্ত যৌন গ্রন্থিগুলো দেখার কামনায় , দেহে কীলকাকৃতি অক্ষর
জ্বরের মাত্রাতিরিক্ত বহুগামিতা আছে বলেই আমি কোনদিন অধর ওষ্ঠে সর্পগন্ধার উপসর্গ গুলোকে জলীয় ক্লিওপেট্রার স্থানিক অবশেষ ভাবিনি , ক্ষতস্থানে পুঁতে দিয়েছি অঙ্কুরোদগমহীন বিভাজিকার তিনটি বিল্বপত্র সুন্দরম প্রবাহ
মৃত রঙের ফ্লুরোসেন্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন আমাদের প্রাচীন পিতারা , আজ চৈতন্য ঘরের প্রতিটি দরজার কৌণিক ফুলে জ্বলে উঠেছেন সঙ্গমবিহীন জ্ঞানযোগের চিন্তামণি ঠাকুর
প্রাচীন সমতল ক্ষেত্রগুলো ছেড়ে এসে নিধিবনের রাতে কামনা তাড়িত মন্মথ বানটি নিজের অন্ত্রে ঢুকিয়ে রেতঃপাত করবেন পরম ঈশ্বর , জন্ম দেবেন সরীসৃপ
পরমেশ্বর নিয়মিত প্রকট হবেন সমুদ্র কিনারায়, আমরা সকলেই আদম প্রজন্মের যৌনবীনা বাজাতে বাজাতে তরল শিরিষ ফুলকে খেয়ে ফেলবো সোমদত্তা নারীটির মতো , ধ্রুবপদ রাখেন উপবৃত্তের নাভিতে
এখন কম্পাস দিয়ে জ্বরের ঠোঁট নির্ণয় করতে হয় রাতের বেলায় , কোমরের তিন ইঞ্চি নিচে অজৈব তিস্তা নদীর অববাহিকা থাকে , আমার পাঁজর ছেড়ে বেরিয়ে আসা বৃত্তাকার চিতা কাঠের রঙিন মাছগুলো মৃত্যুর আগেই সেরে ফেলতে চাইছে একদিন গুচ্ছমূলে্র সৎকার , অন্তিম লগ্নের বৃশ্চিক জাতিকা মানুষদের নিয়ে হেঁটে বেড়াবেন পুরানো গণিতের কাম্য শিখন সামর্থ্যের উত্তরমালার পশ্চিম পাড় দিয়ে , সুমেরু প্রদেশের মানুষগুলো ডিম্বক খেয়ে নেয়
বিদুর রক্তক্ষরণের অর্থ উদ্ধার করতে পারবেনা বলেই বাবা অথবা স্বভোজী পুরুষেরা নিরাকার হবেন হলুদ গোলাপ জল মেখে , আমাদের প্রাচীন অসুখটির মতো বেড়ে উঠবে মোন্টিলুকাস্ট ও লিভোসেটিরিজিন শ্বাসকষ্টের ফুসফুস
আমি কিছু জমাট ও ক্ষতিগ্রস্ত বায়ু ছিদ্রের নিচে বসে থাকা আদিম ক্যানারি পাখি , আমাকে কোন অভিশাপ গ্রস্ত সাপ খেয়ে ফেলবে গর্ভস্থ ভ্রুণের ডিসেকশন টেবিলে
জন্ম আসলে একটি প্রাচীন বিবস্ত্র করণের রাসায়নিক উদাহরণ , কোন সময় ঈশ্বর এসে ফেলে যাবেন তার গান্ধর্ব সঙ্গমের প্রোজেস্টেরন দ্রাঘিমা সকল , হলুদ পলাশ সেবিকাদের শরীরে আগুন লেগে থাকে
আমি গুহার নিচে দাঁড়ানো নারীটির পাকদণ্ডী দৈর্ঘ্য মেপে নিতে চাইছি আলোকবর্ষ স্কেল দিয়ে, মৃত্যুর পর মানুষেরা আলোকবর্ষ হয়ে যায় , তার উত্তাপ একটি ফুলের মতো নরম গর্ভকেশরে জড়িয়ে থাকে তাকে নিয়ে কখনো সহবাস করা যায় না
ব্রহ্মচর্য মানেই কোকিল ডাকা আগুনের কথা নয় , এক ইচ্ছামতী নারীর পাশে বসেই জ্যামিতিক মৃত অশরীরীর মুখমন্ডলের গালভরা ব্যঞ্জন শব্দগুলোকে অবকলের পর খুঁজে পাওয়া ,
অশৌচ শব্দের মৃত হাতযুগলকে উৎসর্গ করি জ্ঞানযোগের ৫২ বর্ণের মাথায় , পতাকা উড়ছে বিবস্ত্র মাথার উপর
আমি খানিক সঙ্গমের পদচিহ্ন গুলো দেখে নিচ্ছি গোপন গুহার ভেতর , আমার সন্তান ঘুমের ঘোরে হেসে ওঠে কাল্পনিক দৃশ্য দেখে বিছানার মৃত্যু নেই বলে সব পুরুষেরাই একবার করে সূক্ষ্মকোণের হরগৌরী বৃক্ষটিকে পুঁতে রাখে বক্ষস্থলে , শ্রীচরণ অমৃতে ডুবিয়ে
আমি ময়ূরের ডাককে বড়ো ভয় পাই ঠান্ডা অজগরের পিঠে গজিয়ে ওঠা আপেল ফলের মতো
ঈশ্বর একটি ফলের বাগান থেকে কতকগুলো ময়ূরীর পালককে সঙ্গে নিয়ে ঔষধি বৃক্ষের তলায় বসবেন, জুড়ে দেবেন আকন্দের তারেই , মহেশ্বর পুংকেশর গুলোর উপর দাঁড়ানো সংহার পর্বখানিকে দেওয়ালের উঁচু থেকে নামিয়ে আনবে অবনতি কোণে, পরজীবী লতা বরাবর আমরা ক্রমশ মাধুকরী জপমালার অংকুর বীজ মন্ত্র নিয়ে রোপন করে যাব পাতলা পোশাকের তলায় ,
জমে থাকা মৃত মানুষের জ্বরকালীন স্তব এখন আঁশটে গন্ধময়
স্বপ্নে গজিয়ে ওঠা চিতা কাঠের উপর লাল রঙের পদ্মফুল জড়িয়ে ধরছে ক্যাকটাস , আজ কোন জনন চিহ্ন নেই
প্রতিটি নিশাচর কালীন গণিত পৌনঃপুনিক লিটমাসে ডোবানো থাকে, ইছামতীর বাঁশিটি প্রতিটি রাতে সাদা রঙে বেজে উঠবে সঙ্গমহীন পরকীয়ায়
চিত্রঋণ ঃঃ অভিরুদ্র জানা