৩০০বছরের ঐতিহ্যবাহী জমিদার আমলের রঘুনাথজীউ মন্দিরের মাঘী পূর্নীমার রথযাত্রা।

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর:- দীর্ঘ বছর আগে একসময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নস্করদিঘী গ্রামের কোনো ব্রাম্ভন পরিবারের কোনো একজন উপনয়ন হওয়ার সময় গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাস হয়ে বৃন্দাবন চলে গিয়েছিলেন,বহু বছর পরে ওই ফিরে এসেছিলেন রঘুনাথজীউর শালগ্রাম শীলা গলায় ঝুলিয়ে নস্করদিঘী গ্রামের ওই স্থানে। সেই থেকে রঘুনাথজীউ মন্দির প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। তবে দীর্ঘ উচ্চতার মন্দিরের সম্পর্কে আজও অজানা সকলের। জমিদার আমল থেকে রঘুনাথজীউ মন্দির নির্মানের সময় টেরাকোটা মন্দিরের কিছু কাজ হয়েছিল ওই মন্দিরে , যা আজ ক্ষয়প্রাপ্ত।
তবে এই মন্দিরে ১৩ চূড়া তৈরি হলেও একসময় সংস্কারের পর ৯টি চূড়া তৈরি হলে তা নবরত্ন মন্দির নামে প্রতিষ্ঠা হয়। যা গ্রামের কাছে রঘুনাথ মন্দির হিসেবে পরিচিত। তবে এই মন্দিরের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে সংশয় থেকেই যাচ্ছে সকলের মনে। তবে প্রাচীন ইতিহাসের কথায় নস্করদিঘী গ্রামে কোনো ব্রাম্ভনের বসতি বা এই মন্দির ছিল না। একসময় বারুই সম্প্রদায় এখানে বসবাস করত। তবে রঘুনাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা কে তা আজও অজানা।
রঘুনাথ মন্দিরের পুরোহিত শিবরাম পন্ডা বলেন ঐতিহ্যবাহী জমিদার আমলের রঘুনাথজীউর রথ মাঘী পূর্ণীমায় টানা হয়,এবং রঘুনাথের নিজস্ব জমি জায়গা রয়েছে, সেখানেই রথ রায় ,সাতদিন থেকে আবার মন্দিরে ফেরত আসে।
স্থানীয় প্রাক্তন শিক্ষক মানস কুমার পতি বলেন মাঘী পূর্ণীমায় রথ টানা হয় । তাঁর টানেই নস্করদিঘী গ্রামের মানুষজন উপস্থিত হয় মন্দির প্রাঙ্গনে। সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয় এই মন্দির প্রাঙ্গনে,জমিদার আমল থেকে রঘুনাথজীউ মন্দির প্রতিস্থাপিত হয়। প্রতিদিন অন্নভোগ হয় রঘুনাথের জন্য।
মন্দিরের শালগ্রাম শীলাই মন্দিরের আসল দেবতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *